সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দুই একটি ঘটনা ছাড়া কুমিল্লা সিটি ও সুনামগঞ্জ ২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, যে দুই একটি জায়গায় গোলযোগের চেষ্টা হয়েছে, তার প্রতিটিতেই পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং সুনামগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে। আর ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্রিফিং করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান ইসির অধীনে এখন পর্যন্ত সবগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১১টি উপজেলা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে ভোট হয়। এগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা না থাকলেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকে সামনে রেখে গত তিন সপ্তাহ ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে তেমন আলোচনা না থাকলেও সকালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই প্রায় সবগুলো বেসরকাটি টেলিভিশন ভোটের পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচার করে প্রতিটি সংবাদেই।
এখানে ১০৩টি কেন্দ্রে দুই লাখেরও বেশি ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ভোট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-ল। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রে জালভোট দেয়া নিয়ে অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের পর ভোট স্থগিত করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এ ছাড়ও আরও চার থেকে পাঁচটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গেছে দুপুরের পর থেকে।
সিইসি বলেন, ‘ইসি থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং, প্রি অফিসারের কাছ থেকে এসএমএসের মধ্যমেও মনিটরিং করা হয়েছে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছি।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘কুমিল্লায় বড় দুই দলের প্রার্থী থাকায় এই নির্বাচন ছিল অধিকতর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনাও দেয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘ইসি তাদের ২৭ কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও কর্মকা-ও তদারকি করছেন। এর বাইরে সাংবাদিক ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরাও এই ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন।’
সিইসি জানান, ‘কোনো প্রার্থীর মধ্যে যেন শঙ্কা না থাকে, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে ইসি।’
এই নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সব প্রার্থী, রাজনৈতিক দল, সমর্থক, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ভোটারদের ধন্যবাদ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।