স্টাফ রিপোর্টার ::
চৈত্র মাসের ভারী বৃষ্টিপাতে জগন্নাথপুরের প্রায় ১৫টি হাওরের ২৫ হেক্টর বোরো ফসল জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব হাওরের বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষায় মাটি ভরাটের কাজ করছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান পাকতে বিলম্ব হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার নলুয়ার হাওর ও মইয়ার হাওরের বেশ কয়েকটি স্থানে ফসল রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার নারিকেলতলা এলাকায় বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। নলুয়া ও মইয়ার হাওরের নারিকেলতলা সেতুর নিকটবর্তী দুইটি বাঁধের একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষায় মাটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ যদি দ্রুত সংস্কার কাজ না হয়, তাহলে যেকোন মুহূর্তে নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল তলিয়ে যেতে পারে। এছাড়া মইয়ার হাওরের নারিকেলতলা পশ্চিমের হাওরে ঠিকাদার প্রায় ১৫০ ফুট বেড়িবাঁধের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে হাওরের ফসল। এবার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে নামে মাত্র কাজ হয়েছে। ফলে হাওরের সকল বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মাহমুদ জানান, চৈত্রের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে হাওরে পানি ঢুকার আশঙ্কা রয়েছে। কষ্টের ফসল ঘরে তোলার আগেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া জানান, গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টি কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হাওরের সকল বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা এলাকায় ঠিকাদারের অসম্পন্ন বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার কিছু এলাকায় ফাটল দেখা দিলে তা সংস্কার করতে শ্রমিকরা কাজ করছে। নারিকেলতলার পশ্চিমের হাওর এলাকায় ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যাওয়ায় হাওর ঝুঁকিতে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আহমদ জানান, হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। নারিকেলতলা এলাকায় ঠিকাদারের প্রকল্পে মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫০ ফুট কাজ করা যায়নি। এ কারণে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ওই এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে পড়েছে।