সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ পাস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও জাসদের সংসদ সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। পরে জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদলের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং অন্যগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। এ আইনটি কার্যকর হলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ নিতে হবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা আছে, একজন চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন ও আটজন খণ্ডকালীন সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠন করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, অধ্যাপক হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন। এছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি সদস্য হবেন।
পাস হওয়া বিলে আরও বলা হয়েছে, কাউন্সিল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে কনফিডেন্স সার্টিফিকেট বা ক্ষেত্র বিশেষে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট প্রদান, স্থগিত বা বাতিল করবে।
বিলে বলা হয়েছে, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট সবার অবগতির জন্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত বলে প্রচার করতে পারবে না।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রেমওয়ার্ক দ্বারা নির্ধারিত প্রমিত মানের শিক্ষা কাঠামোর ব্যত্যয় ঘটিয়ে, স্বনির্ধারিত কোনও শিক্ষা কাঠামোর আলোকে ডিগ্রি দিতেও পারবে না।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুণগত মান নিশ্চিত করতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের অ্যাক্রেডিটেশন প্রদান সহ এর প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম সমাধানের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এ কারণে আইনটি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।