শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির ধাক্কায় শিশু ও কলেজ ছাত্রীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা জুটন দাসের শিশুপুত্র ডাল্টন দাস (৪)। ওই শিশু মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সুখলাইন গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন দেখতে এসেছিল। সে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার থেকে হেঁটে হেঁটে মিলন বাজার যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। দিরাই উপজেলার নাসিরপুর গ্রামের চালক মিজানুর রহমান মোটর সাইকেলটির চালক বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। জানা যায়, শিশুটি মাথায় ও হাতে মারাত্মক আঘাত লাগে। এই ঘটনায় মোটরসাইকেল আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় চালক মিজানুর পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সুলতানপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার শিশুপুত্র সাব্বির হোসেন (২) বেপরোয়া গতির ট্রলির ধাক্কায় আহত হন। তাকেও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান ট্রলিটির চালক মাসুদ মিয়া।
ওইদিন বেলা ২টায় কৃষ্ণপুর হাজী আলী আকবর ডিগ্রি কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী পপি রাণী দাসকে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে একটি বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল সজোরে ধাক্কা দেয়। পপি রাণী দাস মুক্তাপুর গ্রামে নির্মলেন্দু দাসের মেয়ে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা ২টায় মুক্তারপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ সরকার (২৮) মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হন। তারও মুখে আঘাত লেগে ডানদিকের গাল ফেটে যায়। তিনিও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।