ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে ওয়াজ মাহফিলে কওমী মাদ্রাসা ও ফুলতলী পীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ একজনের লাশ সুরমা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষ দেখতে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মক আহত এক শিশু ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার মৃত্যুবরণ করে।
জানা যায়, সোমবার সংঘর্ষ চলাকালে আত্মরক্ষার্থে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেন ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আজাদ মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া (৩৪)। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরমা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
অপরদিকে সোমবার সংঘর্ষ দেখতে পাশের বাড়ির ছাদে উঠেছিল জহির মিয়ার কন্যা ও বাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুরমা বেগম (৮)। অসাবধানতাবশতঃ ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে। পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বুধবার তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওইদিনের সংঘর্ষের জেরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩-এ। সংঘর্ষের ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি বলে জানাগেছে।
ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুরমা নদীতে নিখোঁজ রুবেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো থানায় লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।