রাজন চন্দ ::
ধীরগতিতে চলছে তাহিরপুরে পাউবোর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ। নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন হাওরপাড়ের কৃষক। যে কোন সময় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে উপজেলার বৃহৎ বোরো ফসলি হাওর শনি, মাটিয়ান ও মহালিয়া।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলায় ছোট বড় ২৩টি বোরো ফসলি হাওর রয়েছে। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন হাওরে ১৮টি প্রকল্পে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই সাথে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্নের নির্দেশনা রয়েছে। তাছাড়া মাটিয়ান হাওরে পাচনালিয়া, বড়দল নতুন হাটি স্কুলের বাঁধ, গুরমা এক্সটেনসন হাওরে মাহমুদপুর বাঁধ ও একই হাওরে বাঘমারা বাঁধে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মাটির কাজ শুরুই হয়নি। অপরদিকে মাটিয়ান হাওর ধরুন্দ, সোহালা, আলমখালি, মেশিন বাড়ি, ঠাকাটুকিয়া, শয়তানখালি, বনুয়া, সিলানী তাহিরপুর, শনির হাওরে আহম্মখকালি, পুটিচোরা বারুঙ্কা, বীরনগর রাম জীবনপুর, লালুর গুয়ালা, মহালিয়া হাওরে তাপনা, মহালিয়া, মাহমুদপুর ফসল রক্ষা বাঁধের ৩০ ভাগ মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে বাঁধে বাঁশ, বস্তা দিয়ে প্যালাসাইটিংয়ের কাজও সম্পন্ন হয়নি। বাঁধের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় এবং নদীতে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওর পাড়ের কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
একাধিক কৃষক জানান, গত বছর শনির হাওরের লালুর গোয়ালা ও ঝালখালি নান্টুখালি দুটি বাঁধে সময় মত মাটির কাজ না করায় আকস্মিক নদীতে জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে শনির হাওরের ১৬ হাজার হেক্টর বোরো জমির ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে যায়।
শনির হাওর ও মহালিয়া হাওরপাড়ের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ইউনিয়নে ফসল রক্ষা বাঁধের সকল পিআইসিদের তাগিদ দিয়েছি দ্রত কাজ সমাপ্ত করার জন্য।
দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামলাবাজ মেশিনবাড়ি প্রকল্প পিআইসি আজাহার আলী বলেন, বাঁধের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আশা করছি সম্পন্ন হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমি উপজেলার ১৮টি প্রকল্পের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। বাকিগুলো দু-একদিনের মধ্যে পরিদর্শন করবো। তবে বাঁধের কাজ এখনো শতভাগ সম্পন্ন হয়নি।