1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পাশুয়া হাওর : ধর্মপাশায় বাঁধ ভেঙে ফসলহানি

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের গুরমা হাওরের আওতাধীন পাশুয়া ফসলরক্ষা বাঁধের মধ্যবর্তী অংশে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভাঙন ধরে পাশুয়া হাওরে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে ওই হাওরের ৫০০ একর জমির মধ্যে ২৫০একর বোরো জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি সরেজমিনে সেখানে গিয়েছিলেন। লোকজনও তেমন পাননি। এই এই হাওরে ক্ষতির পরিমাণ ১০ থেকে ১৫একর হতে পারে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের পাশুয়া ফসলরক্ষা বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামত কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজের প্রকল্প কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন চামরদানি ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বকুল তালুকদার। পারিবারিক নানা সমস্যা দেখিয়ে তিনি এই প্রকল্প কাজ করবেন না বলে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেন। পরে প্রকল্প কমিটির সভাপতি হন ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, পাশুয়া ফসলরক্ষা বাঁধে পর্যাপ্ত বাঁশ, চাটাই, ত্রিপাল ও মাটি না ফেলার কারণে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পানির প্রবল ধাক্কায় ওই বাঁধটি ভেঙে গিয়ে হাওরে পানি ঢুকে। এতে ওই হাওরের প্রায় অর্ধেক জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পাউবো কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না এই বাঁধটি নিয়ে চরম উদাসীনতার কারণেই এই ফসল ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে শনিবার বিকেল ৩টায় ওই বাঁধে গিয়ে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। দেখা যায় বাঁধের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি ঢুকছে।
সরস্বতীপুর গ্রামের কৃষক আরফান মিয়া (৪৫) বলেন, মহাজনের কাছ থাইক্যা দেনা কইর‌্যা এই আওরডাত আমি আট কিয়ার বোরো জমিতে ধান চাষ করছিলাম। বেক জমি হানিত তল অইয়া গেছে। অহন পরিবার লইয়া হারা বছর খাইয়াম কিতা, মাইনষের দেনাই দিয়াম ক্যামনে, সময়মতো বান্দের কাম অইলে এই সর্বনাশটা আমরার অইতো না।
প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না বলেন, এই বাঁধটির দুই পাশে দ্বিগুণ করে বাঁশের বেড়া, বস্তাভর্তি বালু ও ত্রিপাল দিয়ে চার লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ করেছি। আর আমি উত্তোলন করেছি মাত্র দুই লাখ টাকা। সোমেশ্বরী নদীর পানির প্রবল ধাক্কায় বাঁধটির মধ্যবর্তী অংশ শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভেঙে গেছে। এতে আমার ও পাউবো কর্তৃপক্ষের কারও কোনো দোষ নেই। এখন শ্রমিক নিয়োজিত করে ওই বাঁধের বিপরীত অংশে দুটি খালে বস্তা ভর্তি মাটি ও বাঁশ দিয়ে পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী রেজা বলেন, প্রকল্প কমিটি বদল হওয়ার কারণে ওই বাঁধের কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। আর এই পানির প্রবল চাপের কারণে বাঁধটির কাজ চলমান অবস্থায় ভেঙে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব আহমদ বলেন, পাশুয়া হাওরের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আমি শনিবার বিকেলে গিয়ে ওই বাঁধে কোনো শ্রমিক পাইনি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫একর জমি তলিয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব খান বলেন, আমি ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দু’জন মিলে ফসলরক্ষা বাঁধের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com