বিশেষ প্রতিনিধি ::
দুই সদস্যের কমিটিতে বছর পার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দুই সদস্যের কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত। আ.লীগের নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে ছুটছেন দুই নেতার পেছনে।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান সভাপতি ও ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আ.লীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা আশায় ছিলেন শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে। এজন্য আ.লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরাও সক্রিয় ছিলেন। গত বছর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে, এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা ছিল। কিন্তু দুই নেতার মধ্যে পরস্পর মতবিরোধের কারণে শেষ মুহূর্তে আটকে যায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
প্রথমদিকে মতিউর রহমান ও ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন একত্রে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালন করেন। গত বছরের জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ব্যারিস্টার ইমন দলীয় সমর্থন নিয়ে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে মতিউর রহমান দলীয় সমর্থনবঞ্চিত প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেন। এনিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিরোধ প্রকট হয়ে উঠে। নির্বাচনের পর থেকে আ.লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতাকে একত্রে কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। ব্যারিস্টার ইমনের বিরোধী পক্ষ হিসেবে পরিচিত নূরুল হুদা মুকুট ও আয়ূব বখত জগলুলের পক্ষের নানা কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন মতিউর রহমান। অন্যদিকে ব্যারিস্টার ইমন নিজ বলয়ের নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
দলীয় কোন্দল আর নানা সমীকরণের বর্তমানে দুই সদস্য কমিটির দুই নেতা বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন। ফলে কবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দিরাই-শাল্লার উপনির্বাচন, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনসহ নানা দলীয় কর্মকা-ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মতিউর রহমান ও ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন।
এ ব্যাপারে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।