সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আমরা বিশ্বের কারও কাছে মাথা নত করে চলবো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। আগামী প্রজন্মকে আমাদের গৌরবের ইতিহাস জানতে হবে। আমরা বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা কারও কাছে মাথা নিচু করবো না। এটাই হবে বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের পরিচয়। আমাদের যেটুকু স¤পদ আছে তা নিয়েই আমরা সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো।’
সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলা ভাষার মর্যাদা অবশ্যই দিতে হবে। দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা যেন হারিয়ে না যায় তার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা শুরু করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা আবার ক্ষমতায় এসে কাজ শেষ করেছি। কোনও দেশের হারিয়ে যাওয়া ভাষা-মাতৃভাষা আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণ করছি। সে ভাষা নিয়ে গবেষণাও করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এ দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে এগিয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির যখন যা কিছু অর্জন তখন অনেক ত্যাগ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমাদের আর্জন করতে হয়। সেই অর্জনগুলি আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনোমতেই কেউ যেন এই অর্জনগুলি নস্যাৎ করতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’
স্বাধীনতা ও ভাষার সংগ্রামের চেতনা যেন কখনো নস্যাৎ হয়ে না যায় সে বিষয়েও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও বক্তব্য দেন।