সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় তিন জনকে বাদ দিয়ে ৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। রোববার সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান মামলাটির চার্জগঠন করেন। মামলার ৭ আসামির মধ্যে তিনজনকে বাদ দিয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে বলে আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মামলায় সুয়েবুর রহমান সুজন, জায়েদ, রফিক ও পলাতক সালেহ আহমদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন এবং অপর আসামি বাচ্চু, বাহার ও নুরুল আমিনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ৫ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান পিপি।
ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল ইমন। ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ তাকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে কদমতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা জহুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছাতক থানায় মামলা (নং-৩২) করেন। চলতি বছরের ২১ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের জন্য গেজেট প্রকাশ করে। ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর থকেই দ্রুত ট্রাইব্যুনালে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। একাধিক শুনানী শেষে রোববার থেকে মামলার বিচার শুরু হল।
পিপি কিশোর কুমার কর জানান, ৩ আসামি বাদ দেওয়ার কারণে বাদি পক্ষ অসন্তুষ্ট হলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। ইমনের পিতা ও মামলার বাদী জহুর আলী জানান, তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।