সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিমান চলাচলে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন করাদণ্ড বা ৫ কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ২০১৭-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী বিমানে চড়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশ-সীমানায় প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের, সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান।
এছাড়া বিমানের নেভিগেশনের সঠিক আলোক বা সংকেত কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
সচিব জানান, আইনের ২৪ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ আইনের বিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া সার্টিফিকেট, লাইসেন্স বা পারমিটের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে তার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের সম্মুখীন হবে বলে জানান সচিব।
মো. শফিউল আলম জানান, বিমানে কেউ বিপজ্জনক দ্রব্য বহন করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডঅথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এর কিছুদিন পরেই গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনার পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের খসড়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ হয়। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭’, ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন-২০১৭’, ‘খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন- ২০১৭’ ও ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।