1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক নেই

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলার কোনো সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক নেই। এছাড়াও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও সংকট রয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। তিনি সোমবার সকালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং সনাক সুনামগঞ্জ’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে সুনামগঞ্জবাসী উন্নত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ডা. আশুতোষ দাশ আরো জানান, বাংলাদেশের সকল হাসপাতালের সমস্যার চিত্র প্রায় একই রকম। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্সদের সেবাপ্রদানের মানসিকতা এবং শহরের সচেতন নাগরিকসহ সকল পর্যায়ের মানুষের পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। তিনি হাসপাতালের বিরাজমান সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন এবং সদর হাসপাতালকে একটি সেবাবান্ধব হাসপাতালে পরিণত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সনাক সদস্য ধূর্জটি কুমার বসু’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় শুরু হয়। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সেবা সম্পর্কিত সনাক ও ইয়েস পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য যোগেশ্বর দাশ।
সনাক ও ইয়েস এর উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশসমূহ হল- হাসপাতালের সেবার মান ও পরিচ্ছন্নতা পূর্বের তুলনায় অগ্রগতি, জনবল বৃদ্ধি (নার্স), আলটাসনোগ্রাফি ও এক্সরে অনেক সময় বন্ধ থাকে, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধির উপস্থিতি, চিকিৎসক কম এবং আউটডোরের কিছু চিকিৎসকের কক্ষ বন্ধ থাকা, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার অপরিষ্কার, দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা প্রদান, শৌচাগারের অবস্থা খারাপ ইত্যাদি। সুপারিশসমূহ হল- চিকিৎসকের ডিউটি রোস্টার দৃশ্যমান জায়গায় রাখা, ডাক্তার নার্সদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, নারী ও শিশুদের বিশেষ সেবা সম্পর্কিত তথ্যবোর্ড দৃশ্যমান জায়গায় রাখা, দৈনন্দিন ঔষধের তালিকা হালনাগাদ করা এবং হাসপাতালের পরামর্শ ও অভিযোগ বক্স খোলার ব্যবস্থা করা ও অভিযোগ রেজিস্ট্রার খোলার মাধ্যমে অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে অভিযোগ নিরসন করা এবং কোন অতিরিক্ত ফি না নেয়া ইত্যাদি।
মুক্ত আলোচনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণির জনবলের অনেক অভাব ফলে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে রোগীর যথাযথ চিকিৎসা সেবা করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। ৩০ জন সুইপারের মধ্যে ৩ জন আছে। তার মধ্যে আবার ২জন অন্য বিভাগে কাজ করে। হাসপাতালের বিভিন্ন পদের স্টাফ যারা আসে তারাও নানানভাবে বদলি নিয়ে চলে যায়। হাসপাতালের দুটি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের মধ্যে একটি আগুনে পুড়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া হাসপাতালে সরকার কর্র্তৃক নির্ধারিত ফি-এর বাইরে কোন ফি নেয়া হয় না এবং রশিদ দেয়া হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন সিভিল সার্জন ও বিএমএ সভাপতি ডা. মো. আবদুন নুর বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে পেতে হলে চিকিৎসক র্নাসদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। হাসপাতালে সিকিউরিটির সমস্যা আছে।
সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জন) ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার বলেন, বর্তমানে সদর হাসপাতালে একজন বিশেষজ্ঞ গাইনী চিকিৎসক খুবই প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সনাক সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া, সনাক সদস্য নির্মল ভট্টাচার্য্য, এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ সনাকের স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক এবং সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক পরিমল কান্তি দে। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্স সনাক, স্বজন সদস্য ছাড়াও এবং টিআইবি’র স্টাফ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের স্টাফ ও ইয়েস সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com