ট্যাক্স আদায়ে ভুয়া প্রকল্প “মঙ্গল পরিবেশ ও মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন” নামে একটি এনজিও সংস্থা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। এ সম্পর্কে গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স আদায়, ট্যাক্স নির্ধারণ পাসবই বিতরণের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রকল্প পরিচালক কাজী মো. হারুন রশিদ ইউনিয়নগুলোতে উক্ত কার্যক্রম চালাতে স্থানীয় কিছু লোকদেরও নিয়োগ দেয়। ভুয়া প্রকল্প পরিচালক ৫০ ভাগ কমিশন হিসেবে অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ অধীন ট্যাক্স প্রদানকারী নাগরিকের দেয়া ১শ টাকার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদকে ৫০ টাকা এবং প্রকল্প নিযুক্ত কর্মীরা ৫০টাকা প্রাপ্য হবেন বলে ট্যাক্স আদায় করে।
প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে ইউনিয়নগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তার পরিষদ কি কিছুই জানেন না। কার অনুমতি নিয়ে এই ভুয়া এনজিও সংস্থাটি ইউনিয়নগুলোতে নিয়মিত সাধারণ নিরীহ নাগরিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায়ের সাহস পায়, কীভাবে? এর জবাব তো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকেই দিতে হবে।
অবাক হওয়ার মত কথা যে ইউপি সচিব জানান ট্যাক্স আদায়ের অংশ থেকে ১০ ভাগ ট্যাক্স আদায়কারীকে কমিশন দেয়ার বিধান রয়েছে। তার জন্য জনগণের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায়ে কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায়কারীকে বৈধতা পেতে হবে। কিন্তু ওই সংস্থাটি কীভাবে কার কাছ থেকে বৈধতা পেল তা তার জানা নেই।
সাধারণ জনগণের ধারণা ভুয়া সংস্থাটির পক্ষে অবশ্যই স্থানীয় প্রভাবশালী কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কারো না কারো হাত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে, সকল ইউনিয়নে এ ধরনের কর্মকা- ঘটে তা কী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তাঁর পরিষদ তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন। সাধারণ জনগণের নিকট থেকে ভুয়া এনজিও যে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হলো তার দায়ভার কে নেবে। তাছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে যারা এ কাজে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের আত্মসম্মান এবং স্থানীয়দের নিকট থেকে ট্যাক্সের নামে টাকা আদায় সমস্ত দায়ভার স্থানীয় জনগণ নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এ থেকেও তারা কীভাবে রক্ষা পাবে। তাই আমাদের দাবি প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের খোঁজে বের করে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।