স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুনামগঞ্জ পৌরসভা।
পৌর মেয়র আয়ূব বখ্ত জগলুলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান।
সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল মনাফ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি সামছুজ্জামান শাহ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ মানিক, শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস, ধর্মপাশা উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক জুবায়ের পাশা হিমু, জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম বকুল, বাহারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক, হাফিজা আক্তার দিপু, দিরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, ১১নং ওয়ার্ডে জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য সৈয়দ সাব্বির মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমেদ অপু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান টিপু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সেরুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিউর রহমান বলেন, আমি ত্যাগী রাজনৈতিক দলের নেতা, ত্যাগী কর্মীদের নেতা। আজকে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত, ‘একদল ত্যাগী, অন্য দল ভুরিভোজ’। ভুরিভোজদের ঘণ্টা বেজে গেছে। এরা আর ভোগ করতে পারবে না কারণ ত্যাগী নেতারা আজ ঐক্যবদ্ধ। যখন দেখি আওয়ামী লীগকে গ্রাস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল তখন আমরা ত্যাগী নেতারা আমি, নূরুল হুদা মুকুট, আয়ূব বখ্ত জগলুল, আবুল কালাম, ছাতক পৌরসভার, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়রসহ অনেক জন বলেছিলাম সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নূরুল হুদা যখন ক্ষমতায় বসেছে তখন তাকে বলতে চাই যারা প্রকল্প নাম করে সুনামগঞ্জের উন্নতির নামে টাকা মেরেছে, তাদেরকে জনগণের সামনে সম্মুখীন করতে হবে। মতিউর রহমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। আপনি এমপিও হয়েছেন-আপনার এই জ্ঞানটা থাকা উচিত ছিল বুঝে কথা বলা। আপনার কথা শুনলে আমাদের লজ্জা লাগে। আপনি কেমন করেন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আমরা থেকে আপনি ভালো করে জানেন। আরেক জন হলেন সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ইয়ামিন চৌধুরী, তিনিও জানেন। তিনি নুরুল হুদা মুকুট ও মেয়র আয়ূব বখত জগলুলকে ভাতিজা ও ভাগনা সম্বোধন করে বলেন, তোমাদের কান ভারি করার জন্য অনেক মানুষ পিছে লেগে গেছে। তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে।
সংবর্ধিত অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, আমাকে প্রার্থী হিসেবে নাম উন্মোচন করেছিলেন আয়ূব বখত জগলুল। তিনি বিগত নির্বাচনে আমার জন্য যে রকম পরিশ্রম করেছেন আমি প্রার্থী হিসেবে তেমন পরিশ্রম করেনি। আমি আয়ূব বখত জগলুল ও মতিউর রহমান চাচাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের জন্য বসার একটি জায়গা করে দিব। আমি খুবই শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করব। আরেকটি ওয়াদা করে যাচ্ছি, যদি জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা বিচার করা হবে ও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জর্জেচ মিঞা, সাবেক পিপি অ্যাড. শফিকুল আলম, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, অ্যাড. শুকুর আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সজীব রঞ্জন দাশ, সিলেট জেলা আ.লীগ নেতা রনজিত সরকার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, খন্দকার মনজুর আহমদ, সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু, আজাদুল ইসলাম রতন, রওনক আহমদ, তাহিরপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, ছাতক উপজেলা আ.লীগ আবরু মিয়া তালুকদার, জামালগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, আ.লীগ নেতা মনজুরুল আলম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আ.লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ধর্মপাশা উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, মধ্যনগর থানা আ.লীগ নেতা প্রবীর বিজয় তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিকাশ কান্তি দে বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, কাউন্সিলর আহমদ নূর, চঞ্চল কুমার লোহ, গোলাম সাবেরীন সাবু, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এহসান আহমদ উজ্জ্বল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আবাবিল নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক দিপ্ত তালুকদার টিটুসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা সভা পরিচালনায় ছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল করিম ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিতেন্দ্র তাদুকদার পিন্টু।
সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আগত চম্পা বণিক, সাব্বির, চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’র কোনাল, শংকরী, আশিক। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন আতাউর রহমান, দ্বীপায়ন চৌধুরী, বুশরা আক্তার ঝুমু, সোহেল রানা, আয়শা ইসলাম বুশরা, বাউল শাহজাহান সিরাজ, রসুল প্রমুখ।