মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুরে বেহাল হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে উপজেলার প্রায় সব সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এতে জন সাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেহাল দশায় জন সাধারণের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ভুক্তভোগী জনতার ক্ষোভ দিনদিন বেড়েই চলেছে।
এছাড়া জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর-গোয়ালাবাজার, জগন্নাথপুর-বেগমপুর, জগন্নাথপুর-চিলাউড়া, জগন্নাথপুর-পাটলিসহ প্রায় সকল সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এসব সড়কের সংস্কার কাজ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নিজামুল করিম জানান, জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের বেহাল দশার কারণে এ লাইনে আমাদের যানবাহন চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ভাঙাচোরা সড়কের ঝাঁকুনিকে ভাল গাড়িগুলো ভেঙে যাচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই ঘটে থাকে সড়ক দুর্ঘটনা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, বর্তমানে আমাদের জগন্নাথপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক। দ্রুত এ সড়কটির মেরামত কাজ করতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সড়কের জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ি বাজার পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এছাড়া জগন্নাথপুর-গোয়ালাবাজার সড়কের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের ভবেরবাজার থেকে কাঁঠালখাইড় পর্যন্ত সাড়ে ১২ কিলোমিটর কাজের মধ্যে ৬ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়। বাকি কাজ আগামী ১ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। জগন্নাথপুর-বেগমপুর ১৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ অচিরেই শুরু হচ্ছে। জগন্নাথপুর-পাটলি ও জগন্নাথপুর-চিলাউড়া সড়কের কাজ আগামিতে হবে। তিনি আরো বলেন, অত্যাধিক গাড়ির চাপ এবং সড়কের কিছু কিছু জায়গায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অতি তাড়াতাড়ি জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশা করছি আগামী ২ মাসের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে। সড়কের কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।