1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

স্বপ্নের কুশিয়ারা সেতু : ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমবে ৬০ কি.মি.

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি ::
মহাজোট সরকারের যোগাযোগ উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হচ্ছে সুনামগঞ্জ। বহুল কাক্সিক্ষত কুশিয়ারা সেতু অবশেষে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ায় যোগাযোগে মাইলফলক স্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলেও রাজধানীর সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় আড়াই ঘণ্টার দূরত্ব কমবে। তাছাড়া ব্যবসায় ও যোগাযোগে জেলায় নতুন দিনের সম্ভাবনা জাগিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর থেকে জগন্নাথপুর, রাণীগঞ্জ, আউশকান্দি সড়কের পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৯৬ সনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তার হাতেই এই সড়কটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়। এই সড়কের নির্মাণকাজ শুরুর মাধ্যমে সিলেট ছাড়াই বিকল্প পথে ও কম দূরত্বে সুনামগঞ্জবাসী রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সহজে যোগাযোগের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। কিন্তু ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ‘সুনামগঞ্জবাসীর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বিকল্প সড়কের প্রয়োজন নেই, সিলেট হয়েই ঢাকা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে’ উল্লেখ করে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হন সুনামগঞ্জবাসী। পরবর্তীতে ২০০৮ সনে ফের মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে স্থানীয় সাংসদ এমএ মান্নান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও জনদাবির প্রেক্ষিতে সেতুটি ফের প্রকল্পভুক্ত করতে উদ্যোগী হন। তার প্রচেষ্টায় এই সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর সবুজপাতা অগ্রাধিকার প্রকল্পে স্থান পায়। সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন, এই সড়কের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ অংশে একাধিক ব্রিজ নির্মাণের পর সবচেয়ে বড় এমনকি সিলেট বিভাগের সর্ববৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন কুশিয়ারা সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এমএ মান্নানের মাধ্যমেই সেতুটি একনেকে অনুমোদন লাভ করে। ৭০২.৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থ এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি টাকা। বক্সগার্ডার এই সেতুটি ২০১৪ সালের ২৫ জুন একনেকে পাস হয়। গত বছরের ২৫ জুন সেতুর দরপত্র আহ্বান হলে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে। অবশেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় খুশি জেলার দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ। তারা যথাসময়ে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্নের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি-অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে দেখা দিবে এই সেতুটি। আরো সহজে এই জেলার কৃষিপণ্য ও মৎস্য রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে দ্রুত ও কম সময়ে পরিবহন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন পণ্যও সহজে ও কম সময়ে পরিবহন করা যাবে। এসব কারণে বাণিজ্যিকভাবে সুনামগঞ্জ আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা ছিল দুর্গম। এই সেতুটির ফলে তারা সরাসরি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ পাবে।
রাণীগঞ্জ এলাকার বাগময়না গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্বপ্ন দেখছিলাম কুশিয়ারায় সেতু হবে। এখন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। আগে সরাসরি আমরা জেলা শহরে যেতে পারতাম না। এখন সেই সুযোগ আসার পাশাপাশি সহজে ও কম সময়ে রাজধানী ঢাকায় যোগাযোগ করতে পারব। অর্থনৈতিকভাবেও আমরা লাভবান হবো।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে সরাসরি আমরা যুক্ত হলাম। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমার পাশাপাশি আমরা জেলা শহরেও দ্রুত ও কম সময়ে পৌঁছতে পারব। ব্যবসা ও যোগাযোগে নতুন দিনের সম্ভাবনা নিয়ে দেখা দিয়েছে এই সেতুটি। যথাসময়ে যাতে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় সেই দাবি আমাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com