বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। এই রূপকল্প পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
বিগত বছরে জাতিসংঘের বার্তা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশে এখন আইটি বিপ্লব চলতে শুরু হয়েছে। শিল্প-বাণিজ্য, সমাজ-সংস্কৃতি, সেবামূলক খাতসমূহে বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে। বলা যায়Ñ আগামীর বাংলাদেশ হবে ডিজিটালি ইকুইপড বাংলাদেশ। সরকার পরিচালনার বিভিন্ন দিক থেকে শুরু করে একজন কৃষক পর্যন্ত প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলবে। তবে এটিও সত্য, কাজটি বলা যতোটা সহজ, করা কিন্তু একেবারেই সহজ নয়। এর জন্য বর্তমান সরকারকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা সর্বোপরি একটা বিরাট কমিটমেন্ট দেখাতে হবে। আর এ দুঃসাধ্য কাজটি সরকারের একার পক্ষে করাও সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার সব মহলের ঐকান্তিক সহযোগিতা।
আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। মনে রাখতে হবে, আমাদের একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে পরিচিত হতে হবে। সে জন্য দরকার একটি উন্নত মানসিকতা। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যা যা প্রয়োজন তা হচ্ছে সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান নিশ্চিত করা, অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে এবং তা বাস্তবায়িত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আমরা জানি, দারিদ্র্য কখনই শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা যাবে না, তবে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। যে পরিবর্তনের কথা সরকার বলেছে, তা প্রমাণ করতে হবে কাজের মধ্য দিয়ে।
মনে রাখতে হবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ যুব সমাজ, যারা গগনচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছে। যেখানে থাকবে না ক্ষুধা, থাকবে না দুর্নীতি, থাকবে না মানুষে মানুষে বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি-কাটাকাটি; বরং এমনই এক বাংলাদেশ হবে যেখানে থাকবে নিরাপত্তা, থাকবে পার¯পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ।