1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সাফাই সাক্ষ্য না দিলে ১৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুরু রাগীব আলী মামলার

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটের দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষী দেবেন দুজন। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পুনরায় ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন সাক্ষ্য না দিলে সাফাই সাক্ষ্য ছাড়াই যুক্তিতর্ক শুরু হবে রাগিব আলী মামলার।
বুধবার রাগীব আলীর পক্ষের আইনজীবীরা দুজন সাফাই সাক্ষীর নাম আদালতে দাখিল করে সময় প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক মো. সাইফুজ্জামান হিরো সময় প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর করেন।
বুধবার জালিয়াতির মামলার সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে সাক্ষীরা আসার কথা থাকলেও তারা আসেননি। সাক্ষী না আসায় আগামী ১৭ জানুয়ারি সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ওই দিনও যদি সাফাই সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হন তাহলে ওই দিন থেকে আলোচিত এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। এরপর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আত্মসাৎ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সরকারের পদস্থ তিন কর্মকর্তার একজন মামলার বাদী ও অন্য দুজন তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মামলার জন্য সাফাই সাক্ষী নিয়ে আসার কথা ছিল আসামিপক্ষের। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বুধবার সময় চেয়ে আবেদন করলে বিচারক সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন। ওই দিন সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ না হলে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হবে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর স¤পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখলে নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী নিজের ও স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। দেবোত্তর স¤পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নি®পত্তি করে পুলিশ। ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় তার ছেলে আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com