সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নামে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ইসলামপুর এলাকায় প্রতারণাকালে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ৭টি মোবাইল সেট এবং বিকাশের ট্রানজেকশন রেজিস্ট্রার জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সালেক উদ্দিনের ছেলে হোসাইন আহমেদ মিশেল (২১), মইনুল ইসলামের ছেলে মুহিদুল ইসলাম জিহাদ (১৮) ও সিলেট নগরীর জালালাবাদ থাকার শেখপাড়া গ্রামের মো. আলীর ছেলে নাইম আহম্মেদ (১৮)।
র্যাব জানায়, প্রতারণাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রতারক চক্রের ৩/৪ জনের ১টি দল থাকে যারা বিভিন্ন বিকাশের দোকানে গিয়ে কৌশলে বিকাশের ডেইলি ট্রানজেকশন রেজিস্ট্রার হতে যে যে মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠানো হয় তার ১টি ছবি তুলে নিয়ে যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইলে ধারণকৃত ছবিগুলো তাদের কথিত বস নাজমুলের মোবাইলে পাঠায়। পরবর্তীতে কথিত বস ওই নাম্বারে ১টি ফলস্ এসএমএস পাঠায় যাতে মোবাইল ইনবক্সের মেসেজে টাকার পরিমাণ দেখানো হয় কিন্তু বিকাশ একাউন্টে কোন টাকা জমা হয় না, যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। পরবর্তীতে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে আপনার মোবাইলে ভুলে দুইবার টাকা চলে গেছে এবং এই বলে টাকা ফেরত চায়। সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে টাকা ফেরত দেয় এবং পরবর্তীতে যখন দেখে যে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা চলে গেছে তখন বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এই চক্রটি ক্যাশ আউট, মানি ট্রানজেকশন, সেন্ড মানি, পেমেন্ট শব্দগুলোর সাথে সাধারণ জনগণ স¤পূর্ণ অবগত না হওয়ায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতারণা করে। স¤পূর্ণ কাজটি তারা সুকৌশলে করে থাকে। এই প্রতারক চক্রটি বৃহত্তর সিলেটসহ ঢাকা ও বিভিন্ন শহরে তাদের প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে। সাধারণ মানুষ এভাবে প্রতিনিয়ত এরূপ চক্রের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে, যা কোনভাবে কাম্য নয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে এসএমপি’র শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।