ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলা সদরের ফিউচার লিডার কিন্ডারগার্টেনের সামনের সড়কে সিরিয়াল ভেঙে মোটরসাইকেলে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই মোটরসাইকেল চালক ও তাদের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন হয়েছেন। এদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত উপজেলা মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সদস্য কবীর মিয়াকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফিউচার লিডার কিন্ডারগার্টেনের সামনের সড়কে ধর্মপাশা উপজেলা মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতির পরিচালিত একটি অস্থায়ী স্ট্যান্ড রয়েছে। এই স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন ধর্মপাশার জয়শ্রী হয়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও পাশের জামালগঞ্জসহ সুনামগঞ্জ জেলা সদরে দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেলে চলাচল করে করছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ওই সমিতির বাইরের মোটরসাইকেল চালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা দিলদার মিয়া মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড কর্তৃক নির্ধারিত মোটরসাইকেলের সিরিয়াল না মেনে যাত্রী তুলে পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে এতে বাধা দেন সিরিয়ালে থাকা একই ইউনিয়নের হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও সমিতির সদস্য মোটরসাইকেল চালক সুজন মিয়া। এ নিয়ে প্রথমে দুই চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই দুই চালক ও তাদের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে দেলোয়ার হোসেন (৪৫), কবীর মিয়া (২২), সুজন মিয়া (২২), শাহজাহান মিয়া (২৪), এনামুল হক (৫০), রুবেল মিয়া (২০)সহ অন্তত ১০জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উপজেলা মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সদস্য কবির মিয়াকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে দেলোয়ার হোসেনকে ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
উপজেলা মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, দিলদার মিয়া আমাদের সমিতির সদস্য নয়। তিনি সিরিয়াল না মেনে যাত্রী নিয়ে এই স্ট্যান্ড থেকে অন্যত্র যাচ্ছিলেন। এতে বাধা দেন সিরিয়ালে থাকা আরেক মোটর সাইকেল চালক। আর এ নিয়েই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। আমি এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে নিজেও আহত হয়েছি।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।