1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

রাষ্ট্রপতিকে চারটি প্রস্তাব ও ১১টি সুপারিশ দিলো আ.লীগ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৭

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক এখতিয়ার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে ফিরে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলটির সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে চারটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
এই চার প্রস্তাব হচ্ছে: ১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। ২. প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যা উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সে প্রক্রিয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। ৩. প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে সম্ভব হলে এখনই একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন অথবা অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। সময় স্বল্পতার কারণে ইসি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় যেন এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়, সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা। ৪. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিরাজমান সব বিধিবিধানের সঙ্গে জনগণের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং চালু করা।
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট এসব প্রস্তাবের বাইরেও একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ। এগুলো হচ্ছে: ১. একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন, ২. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/সংস্থার দায়িত্বশীলতা, ৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা ও নিরপেক্ষ আচরণ, ৪. ছবিযুক্ত একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা এবং ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা, ৫. নির্বাচন পরিচালনায় বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পরিবর্তে কেবলমাত্র প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রিজাইডিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা, ৬. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ, ৭. দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের নির্মোহ তৎপরতা, ৮. নির্বাচনে পেশীশক্তি ও অর্থের প্রয়োগ বন্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকল পর্যায়ের ভোটারের অবাধ ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করা, ৯. নির্বাচনের পূর্বে ও পরে এবং নির্বাচনের দিন ভোটারসহ সর্ব সাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১০. নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা, ১১. নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যকীয় দৈনন্দিন (রুটিন) কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ইস্যুতে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যায়। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিকাল ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক স¤পন্ন হয় দলটির নেতাদের। এ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে এ নিয়ে ২৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাষ্ট্রপতি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com