কৃষকের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। যে দেশ কৃষিতে যত উন্নত, সেই দেশ তত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। কৃষক খাদ্যশস্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যের সংস্থান করেন। অথচ সেই কৃষক প্রতি বছর লোকসানের শিকার হচ্ছেন। হাওরাঞ্চল সুনামগঞ্জেও এর ব্যতিক্রম নয়। পাহাড়ি ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে এখানে প্রতিবছরই ফসলহানির ঘটনা ঘটছে। ফলে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। তবে তারা দমে যাননি। বিগত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার বেশি জমিতে বোরো চাষ করছেন তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষাবাদে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকদের। লাঙল জোয়ালের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক কৃষক জমিতে এখন চারা রোপণ করছেন।
সংবাদপাঠে জানাগেছে, এ বছর বিগত বছরের চেয়ে বোরো আবাদ বেড়েছে। এ বছর জেলার ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বছর টার্গেট ছাড়িয়ে কমপক্ষে ২ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে চাষ হতে যাচ্ছে বোরো ধান। আর কিছুদিন পর হাওরের মাঠজুড়েই শোভা পাবে বোরোর কচি ধানের সবুজ চারা।
আমরা মনে করি, কৃষকদের বিগত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের সার, ডিজেল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পরামর্শ দিয়ে বোরো চাষে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু কৃষিতে ভর্তুকি, সার, বীজ সরবরাহ করলেই হবে না, একই সঙ্গে কৃষিপণ্য বিশেষ করে ধান-চালের উপযুক্ত মূল্য যেন কৃষক পায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি হাওরের ফসল রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে।