সুনামগঞ্জ জেলায় নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে। এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং সার্বিক অর্থেই আশঙ্কার। নারী নির্যাতন রোধ করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে হয়তো নির্যাতনের হার একদিনেই নেমে আসবে না, কিন্তু এই হার ধীরে ধীরে কমে আসবে বলেই আমরা মনে করি।
গত রোববার দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়Ñ সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ বছর জেলাতে ৯৩ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যা গতবছরের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে নতুন পুরাতন মিলিয়ে আদালতে মামলা আছে ৬টি।
এই পরিস্থিতি নিরসনের জন্য ব্যাপকভাবে মানসিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর তা নিশ্চিত করতে হলে চিহ্নিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার বিকল্প নেই। আর তার জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকেই। নারী নির্যাতনের হার কেবল সুনামগঞ্জেই বাড়ছে না, দেশের নানা স্থানেও নারী নির্যাতনের হারও ঊর্ধ্বমুখী। আর এই হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার মূল কারণই হলো দারিদ্র্য, যৌতুক, বহুবিবাহ এবং অশিক্ষা। ফলে এটা ¯পষ্ট, নারী নির্যাতন, ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্য যেসব কারণ চিহ্নিত করা যাচ্ছে তা নির্মূল করতে আন্তরিক ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।
আমরা প্রত্যাশা করি, নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য প্রবণতাকে দমন করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি প্রদান করা হোক। আমরা চাই, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র থেকে নির্মূল করে নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।