স্বাধীনতা ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী বধ্যভূমি। দেশের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণে সরকার উদ্যোগ নিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১৯৫টি বধ্যভূমি রয়েছে। তা থেকে ৩৫টি বাছাই করে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ওই বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত করা হয়েছিল। অনেকটা জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত অবস্থায় স্মৃতিস্তম্ভগুলো পড়ে থাকায় বেশির ভাগ স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে আইএমইডি কিছু সুপারিশ করে তিন চার মাস আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
সুনামগঞ্জ শহরের পিটিআই ক্যা¤পাসে অবস্থিত বধ্যভূমিটি দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। বেশ কয়েক বছর পূর্বে জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বধ্যভূমিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরবর্তীতে সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও অযতেœ-অবহেলায় পড়ে আছে ঐতিহাসিক এ স্থান। আমাদের দাবি দেশের প্রতিটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। শুধু নির্মাণকাজ সম্পন্নই নয়, এগুলো দেখভালের দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি এদেশের সাধারণ মানুষকে নিতে হবে।