1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ঝরাপাতার পান্ডুলিপি : শরর্ণাথী ৭১

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

সুখেন্দু সের ::
(পূর্ব প্রকাশের পর)
কাঁধে করে ট্রাংক নিয়ে নওয়াব মিয়ার ঘাটে চলে এলাম। বাড়ির নৌকা এদিক দিয়েই আসবে। একই সঙ্গে যাব। রাস্তায় অল্পসংখ্যক লোকের চলাচল, প্রাণহীন কায়ার মত। ভয় তাড়া করছে সর্বক্ষণ। কখন পাঞ্জাবি এসে পড়ে। তারপর কি হবে? দু’চারজন পরিচিতের সাথে দেখা। কেমন আছি, কোথায় আছি, বালাটের খবরাখবর। নির্জন শহরটিকে একবার ঘুরে দেখার খুব ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু কখন নৌকা এসে পড়ে সে ভাবনায় নিবৃত হলেও উজানে চোখ রেখে নদীর পাড় ধরে উকিলপাড়া দেওয়ান সাহেবের ঘাট পর্যন্ত এগোলাম। প্রথম প্রতিরোধের দিন সন্ধ্যার আগে ইপিআর এবং রাইফেলধারী কয়েকজন আনসার এখানে এসে জড়ো হয়েছিল। এবাড়ি, ওবাড়ি থেকে চিড়া, মুড়ি, গুড়, রুটি, ডাল তরকারি সংগ্রহ করে এনে দেয়া হয়েছিল। এগুলি খেয়েই রাতের জন্য পজিশন নিতে চলে যায় তারা। আজ দুপুর বেলায় সুনসান নীরবতা। ভাটির ¯্রােতে কিছু শরণার্থীর নৌকা নীরবে শহর অতিক্রম করে ঝালখালির দিকে ছুটছে। নৌকার যাত্রীদের অন্তরের ঝড়, পাড়ে এসে লাগে না। আবহমান কাল ধরে প্রবাহিত সুরমার পরিচিত ¯্রােত আর তীরে ছোট এক শান্ত শহর। জন্ম থেকে পরিচিত তবু কেমন যেন অচেনা ঠেকছে। নির্জনতায় আচ্ছন্ন এমন এক আধিভৌতিক পরিবেশে আমাকে উদ্দেশ্য করা আহ্বানে সচকিত হলাম। আটপৌঢ়ে ধুতি আর দুইপাশে পকেটআলা হালকা নীল রঙের হাফশার্ট গায়ে মতি বাবু। ন্যাশনাল ফার্মেসির ভূপতি এষের ভাই। নিতান্ত সহজ সরল ছোটখাটো মানুষ। কথা বলতেন খুব কম। ছোটছোট চোখে মিটমিট চাহনি আর ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকতো সব সময়। বিয়ে থা করেননি। ম্যানেজার বাবু বলে ডাকলে খুশিতে হাসির রেখাটি কিঞ্চিত প্রসারিত হয়ে সারা মুখে ছড়িয়ে পড়তো। ঔষধপত্রে ঠাসা ছোট পরিসরের ন্যাশনাল ফার্মেসির এক চিলতে বারান্দায় চারটি চেয়ারে ঠাসাঠাসি করে বসে দৈনিক পত্রিকা মেলে বসে থাকতেন শহরের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা। ইংরেজি, বাংলা দু’ধরনের কাগজই থাকতো। রাত পৌনে আট’টায় বিবিসি’র বাংলা সংবাদ। সামনের রাস্তায় নীরবে হাঁটাহাঁটি করে ম্যানেজার বাবু সময় কাটাতেন। বাসার গুদাম থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ আনতে হলে উনার প্রয়োজন পড়ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফার্মেসি নিয়ে ব্যস্ত ভূপতি বাবুর সংসারের প্রতি নজর দেয়ার সময় নেই, গরজও নেই। তা সামলাতেন স্ত্রী লীলা এষ। আমার দিদি। রক্তের সম্পর্কের না হলেও শৈশব থেকেই কি এক গভীর মমতায় বুকের খাঁচায় বন্দি করে রেখেছেন তা থেকে মুক্তি মিলেনি আর। ঘরসংসার, সন্তানদের পড়ালেখা, সামাজিকতা সবকিছু নিজের কাঁধে নিয়ে হাসিখুশি সব সময়। পাড়ার বৌ ঝি’দের নিত্য মজলিসে চা, পানের ঘাটতি নেই। প্রায়দিনই যেতাম। দুপুর বেলা জোর করে খাইয়ে দিতেন। এখন খালি বাসায় মতি বাবু একা। রান্নাবান্না শেষ করে নদীর ঘাটে ¯œান করতে এসে আমার সাথে দেখা। দিদি’র আপ্যায়ন বাতিক আজ যেন ম্যানেজার বাবুর মাঝে সংক্রমিত হল। খেয়ে যাও। দু’টি শব্দে ক্ষীণ স্বরের এই আহ্বান আমাকে কেবল যে সচকিত করে তুলেছিল তা নয়, সম্মোহিতের মত অনুসরণ করে কাছাকাছি বাসায় এসে দুপুরের খাবারও খেয়ে নিলাম।
নির্ধারিত সময়ে বাড়ির নৌকা আসতে পারবে না তা আঁচ করেছিলাম আগেই। যাত্রাতেই যত বিলম্ব। সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে ভিটেমাটি ঘরদোরের মায়া ছাড়ানো বড় কঠিন। গাছেগাছে ঠাসা কাঁচা আম, পাকা কাঁঠালের গন্ধ, ক্ষেতে সোনারঙ লেগে আসা ধান, সযতœ পরিচর্যায় বেড়ে উঠা চালকুমড়ার বাড়ন্ত ডগা, সুপুষ্ট পাতা, ঝিঙ্গের ঝাড়, গরু-বাছুর, গাছপালা সবকিছুর জন্যই অন্তরজুড়ে কেবল আকুলি-বিকুলি। অদৃশ্য কিন্তু অবিচ্ছেদ্য বন্ধনের পিছুটান।
যাত্রার একেবারে অন্তিম মুহূর্তে জ্যেষ্ঠমা আবার শূন্য গোয়াল ঘরে ফিরে গেলেন। শেষ বারের মতো চারদিকে চোখ বুলিয়ে ঘরের বেড়া, বাঁশের খুঁটি, টানানো দড়িতে হাত বুলালেন। বাছুরের খোয়াড়ে মাথা ঠেকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন। তারপর ধীর পায়ে উঠোনে নেমে তুলসি গাছের সামনে গিয়ে হাঁটু গেড়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে মাটিতে মাথা ঠেকালেন। এক চিমটে মাটি কপালে ঘষে আর এক মুঠো আঁচলের কোণে বেঁধে চোখের জল মুছতে মুছতে অপেক্ষারত জেঠামশাইয়ের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালেন।
ছায়ানিবিড় গ্রামের ঘুঘু ডাকা দুপুরে গ্রামীণ মনের জড়তা কাটিয়ে পুকুরের পাড় ছেড়ে, আমন ক্ষেতের আল ধরে অনতিদূরে নদীর ঘাটের দিকে চললো সবাই। পড়ে রইলো শূন্য ঘর, নীরবতার হাহাকার, জনহীন খা খা গ্রাম। শৈশব থেকে আমার মনোজগতে ধৃতরাষ্ট্ররূপে প্রতিষ্ঠিত অন্ধ জেঠামশাই যেন গান্ধারীকে নিয়ে যাত্রা করছেন বানপ্রস্থে। গ্রামের সব নর-নারী নীরবে তাদের অনুসরণ করছে। এখন তো চলছে খান্ডব দহন। সামনে কুরুক্ষেত্রের বিস্তীর্ণ প্রান্তর।
শিলং :
জেঠামশাইরা বালাট পর্যন্ত না গিয়ে সীমান্তের কাছাকাছি সমতলে লালপানিতে উঠলেন। আমাদের গ্রামের এক সময়ের বাসিন্দা অশ্বিনী চক্রবর্তী চার-পাঁচ বছর যাবত এখানে বসবাস করছেন। পাঁচমিশালী গ্রাম। বাঙালির সংখ্যাধিক্য থাকলেও খাসিয়া, গারো, কুচ, হাজংও রয়েছে। পুরোহিত হিসেবে ক’বছরেই চক্রবর্তী মশাই গ্রামে বেশ একটা সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। নিজের একটা ঘর ছেড়েদিলেন জেঠামশাইয়ের জন্য। সচেষ্ট হয়ে অন্যদেরও ব্যবস্থা করেদিলেন। গ্রামের কাছাকাছি ছোট টিলায় একটা টিনের চালাঘর খালি পড়েছিল অনেকদিন। কয়েক পরিবারের জায়গা হল সেটিতে। কেউ স্বউদ্যোগে বাঁশের খুঁটি টিন, কাপড় দিয়ে আশ্রয় তৈরি করে নিল। সবারই মাথাগোঁজার একটা ঠাঁই হয়ে গেছে। মাইলখানেক দূরে বালাট। ভাওয়াল নদীর উপর নড়বড়ে ঝুলন্ত তারের পুল পেরিয়ে বাজারের টংঘরের আস্তানায় যখন ফিরে এলাম তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। সকলের উৎকণ্ঠা দূর হল। গ্রামের সবাই নিরাপদে চলে আসতে পারায় স্বস্তিও মিললো।
হারিকেনের আলোয় টংঘরে একজন অতিথিকে দেখতে পেলাম। বালাটে অবস্থানকারী শরণার্থী পরিবারে অতিথি নতুন কোনো ব্যাপার নয়। পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে সুনামগঞ্জ বা আশেপাশের এলাকা থেকে পরিচিত কেউ এলে যেকোনো পরিবারের সাথেই থাকতে পারে। আবার ভারতে অবস্থানকারী কেউ আত্মীয়-স্বজনের খুঁজেও আসে। তবে উনি সিলেটের খাদিমনগরের আমাদের এক ভগ্নিপতি, কাঞ্চন নাগ। সিলেটের প্রতিরোধ যুদ্ধে মেজর মুত্তালিবের সহযোগী হয়ে তামাবিলে অবস্থান করছিলেন। বিশেষ পাস নিয়ে আমাদের খোঁজখবর নিতেই শিলং ঘুরে এখানে এসেছেন।
ভগ্নিপতির পিতা অর্থাৎ আমাদের তাঐ মহাশয় খাদিমনগর চা বাগানের ডাক্তার। বিশাল বড় বাগান। টিলার ওপরে ডাক্তার বাবুর বাংলোটিও বেশ বড়। বেশ ক’জন ভাইবোন নিয়ে জামাইবাবুদের পরিবারটিও অনেক বড়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে সারিসারি টিলায় কালশিরিসের মায়াময় ছায়ায় ঢেউ খেলানো সবুজ। নিচের ফ্যাক্টরি থেকে ভেসে আসা তাজা চায়ের গন্ধের সাথে ডাক্তার বাবুর পরিবারটির এক ভালোলাগা পরিবেশ মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে। গান-বাজনার চর্চাও আছে। ধবধবে সাদা হাফপ্যান্ট, সাদা হাফ শার্ট ও কালো সু’তে পুরোদস্তুর সাহেবী কায়দার রাসভারি ডাক্তার বাবু স্টেথো কাঁচি ছুরি রেখে অবসর সময়ে বেহালা নিয়ে আপন মনে সুর তোলেনÑ আজো মধুরও বাঁশরি বাজে, গোমতীরও তীরে পাতারও কুঠিরে…। খবর রটে গিয়েছিল পাঞ্জাবিরা বাগান আক্রমণ করে সবাইকে মেরে ফেলেছে। পরে নিশ্চিত হয়েছিলাম ডাক্তার বাবু নয়, কম্পাউন্ডার বাবুর পরিবারের প্রায় সবাইকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে পাঞ্জাবিরা। কম্পাউন্ডার দুর্গা হাজং এবং তার ছেলে ও ভাইয়ের পরিবারের সবাই নিহত হন। বাংলোর পাশের হাসপাতালটিও বিধ্বস্ত হয়। চব্বিশ জনকে হত্যা করা হয়েছিল একই সঙ্গে। তিন নম্বর বস্তিতে আক্রমণ করে আরো বিশ জন। মাত্র একদিন আগে খাদিম বাগান ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছিলেন কালাগোল বাগানে। পরে কালাগোলও আক্রান্ত হয়। কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে গুলনি হয়ে হেঁটে হরিপুরে আসেন। সেখান থেকে পশ্চাৎবর্তী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জন্য রেশন পরিবহনে ব্যবহৃত ইপিআরের ট্রাকে আটা, ময়দা, চালের বস্তার সাথে পুরো পরিবার বোঝাই হয়ে চলে আসেন জৈন্তাপুর। সেখান থেকে ডাউকি, শিলং, করিমগঞ্জ হয়ে ত্রিপুরার ধর্মনগর। গোমতীর তীরে পাতার কুঠিরে নয়, বাঁশের খুঁটি আর তেরপাল ছাওয়া উপ্তাখালি শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই হয় ডাক্তার বাবুর পরিবারের। প্রাণ নিয়ে এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সবাই। হাতে আর বেহালা ওঠেনি। উপ্তাখালি ক্যাম্পের কলেরা, আমাশয়, চোখ ওঠা, চর্মরোগাক্রান্ত কয়েক হাজার শরণার্থীর চিকিৎসায় নয় মাস দিন-রাত ব্যস্ত সময় কেটে যায় আমাদের তাঐ মহাশয় ডাক্তার তরণীকান্ত নাগের।
কাঞ্চন বাবুর কাছ থেকে আরো কিছু বীভৎস্য ঘটনার খবর পাওয়া গেল। এপ্রিলের ১৮ তারিখ সিলেট শহরের কাছাকাছি তারাপুর বাগানের সত্ত্বাধিকারী রাজেন্দ্র লালগুপ্ত’র পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শ্রমিক কর্মচারীকে ট্রাকে তোলে মালনীছড়া চা বাগানের টিলায় নিয়ে এসে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে পাঞ্জাবিরা। রাজেন্দ্র গুপ্তের ধন-সম্পদও লুটে নিয়ে যায়। পরিবারের নারীদের ওপরও চালায় পাশবিক নির্যাতন। একদিনেই তারাপুর বাগানের চল্লিশ জনকে হত্যা করা হয়। রাজেন্দ্র গুপ্তের ১০-১২ বছরের ছোট্ট ছেলেটি কোনোভাবে রক্ষা পায়।
২৫ মার্চের পরপরই সিলেট শহরের আশেপাশের টিলায় অবস্থান নেয় হানাদার বাহিনী। শহরতলির উড়িয়াপাড়ায় (কলাপাড়া) ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য থেকে আগত চা শ্রমিকসহ অনেক শ্রমিক পরিবারের বসবাস। ৬ এপ্রিল সকালবেলা বাংকার খননের জন্য ঘুম থেকে তোলে আনে শ্রমিকদের। প্রায় অর্ধশত শ্রমিক দিয়ে দুই ঘণ্টা কাজ করানোর পর পাঞ্জাবিরা সকলকে একত্র করে হিন্দু-মুসলমান দুই লাইনে বিভক্ত করে। মুসলমান শ্রমিকদের মুক্তি দিলেও উড়িয়া শ্রমিকদের লাইনে চালানো হয় গুলি। মৃত্যু নিশ্চিত হলেও তাঁদের স্বভাবসিদ্ধ নৃশংসতায় পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় একুশ জন শ্রমিকের দেহ। বস্তিতে চলে লুটপাট আর নির্যাতন। শহর থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে দুর্গম এলাকা বিবেচনায় অনেক লোকজন কালাগোল বাগানে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। সালুটিকর বিমানবন্দর থেকে কয়েক গাড়ি পাকসেনা এসে প্রথমে তেলিহাটিতে নির্বিচারে গুলি চালায়। তারপর কালাগোল বস্তিতে এসে চালায় হত্যাযজ্ঞ। আগুনে পুড়িয়ে দেয় কয়েকটি গ্রাম। নারীদেরও লাঞ্ছিত করে। তেলিহাটি আর কালাগোলের মাটি ভিজে গিয়েছিল নিরীহ নারী-পুরুষের রক্তে। প্রাথমিক প্রতিরোধযুদ্ধে সিলেট শহর থেকে পাঞ্জাবিরা হটে গেলেও বিমানে করে শত শত সৈন্য এসে নামে সালুটিকর বিমানবন্দরে। পথে পথে ব্যারিকেডে বাধাগ্রস্ত হয়ে সেনারা ঢুকে পরে ইলিশাকান্দিতে। অধিকাংশ লোকই তখন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। যারা ছিল প্রায় সকলেই শিকার হল পাকবাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডের। শহরের কাছাকাছি এয়ারপোর্ট রোডের পাশে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান মালনীছড়া। ২৫ মার্চের বিভীষিকার পরপরই নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক শওকত নেওয়াজ। ৬ এপ্রিল পাকসেনারা আকস্মিকভাবে ম্যানজারের বাংলো ঘেরাও করে একভাই ও দুই আত্মীয়সহ তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন সকালবেলা তাদের লাশ পাওয়া যায় বাগানের এক টিলায়। সঙ্গে আরো কয়েকজন শ্রমিক। (চলবে)

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com