বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন আয়ের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশে পর্যটন খাত অর্থনীতির প্রাণভ্রমরা হিসেবে বিবেচিত। মালদ্বীপকে পর্যটনের বাইরে কল্পনা করাই কঠিন। এ ক্ষেত্রে পর্যটন খাতে বাংলাদেশের আয় সবচেয়ে কম। অথচ পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো উপাদান বাংলাদেশে ধারেকাছের কোনো দেশের চেয়ে কম নয়।
গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়Ñ আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটকবান্ধব হতে যাচ্ছে নয়নাভিরাম তাহিরপুরের টেকেরঘাট ও বারেকের টিলা। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার টেকেরঘাট ও বারেকের টিলার সামগ্রিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে নানামুখী কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দর্শনীয় স্থানের উন্নয়নে কাজ করা হবে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আরো এগিয়ে নিতে ২৭ পর্যটন এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হচ্ছে। এসব দর্শনীয় এলাকায় ভবন ও নানা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হবে স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চিতকরণ, এয়ারলাইনস, বাস, শিপিং, হোটেল, রেস্তোরাঁ, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ট্যুর অপারেটর সুবিধা, ট্রাভেল এজেন্ট, কার রেন্টাল ফার্ম, ক্যাটারার, হস্তশিল্প ও কৃষিপণ্য খুচরা বিক্রির বিকাশ ঘটানোর বিষয়।
তাহিরপুরের টেকেরঘাট ও বারেকের টিলা পর্যটনের যে বিশাল সম্ভাবনা তার বাস্তবতা অনুধাবন করে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিলম্ব হলেও যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তার জন্য সুনামগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ সংশ্লিষ্টমহলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। এখন সংশ্লিষ্ট মহলের কাজ হবে পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড অতিদ্রুত স¤পন্ন করা। পাশাপাশি এ অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা করা। স্থানীয়ভাবে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ, সড়ক যোগাযোগ স্থাপন ও গৃহীত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।