1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

এইডস প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬

১ ডিসেম্বর পালিত হল বিশ্ব এইডস দিবস। প্রথমদিকে আফ্রিকা, আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ দিবসটি গুরুত্বসহকারে পালন শুরু করলেও বর্তমান দিবসটির ব্যাপ্তি ঘটেছে বিশ্বজুড়ে।
এইডস আজ বিশ্বব্যাপী মানব সভ্যতার অস্তিত্বের ওপর একটি বড় হুমকিস্বরূপ। এইডস ইতোমধ্যেই বিশ্বে ১৫-৪৯ বছর বয়সী মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইচআইভি হলো হিউম্যান ইমিউনো-ডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাসের আক্রমণের ফলে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। এক সময় এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার অবস্থাকে এইডস বলে। তখন এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে এইচআইভির সংক্রমণ ৪৭ শতাংশ কমেছে। সেই সঙ্গে এইডসে মৃত্যুও কমেছে। আর ইউএন এইডসের হিসাবে সারা বিশ্বে ২০০০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত সংক্রমণ কমেছে ৩৫ শতাংশ। ২০০৪ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এই রোগে সারা বিশ্বে মৃত্যু কমেছে ৪২ শতাংশ। সরকারের হিসাবে দেশে বর্তমানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির অনুমিত সংখ্যা ১০ হাজার। এর মধ্যে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৫। গত কয়েক বছরে শনাক্ত হওয়া রোগী বাড়ছে। ২০১৩ সালে শনাক্ত হয়েছিল ৩৭০ জন, ২০১৪ সালে ৪৩৩ জন। আর ২০১৫ সালে বেড়ে হয়েছিল ৪৬৯ জন। ২০১৬ সালে শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৬০০ জন। এইডসে মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই রোগে ৬৫৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৮২ জন, ২০১৪ সালে ৯১ জন এবং ২০১৫ সালে ৯৫ জন মারা গেছে। ২০১৬ সালে মারা গেছে ১০০ জনের বেশি।
এইচআইভি/এইডস কর্মসূচির দুর্বলতার কারণে দিন দিন দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশে বর্তমানে শিরায় মাদক গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজারের মধ্যে ১১ হাজার মাদকসেবী জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না। দেশে শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশকে সেবার আওতায় আনলে নতুন সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই যে, রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে প্রতিরোধ সর্বদাই উত্তম পন্থা। বাংলাদেশের পারিবারিক ও দা¤পত্য জীবন যথেষ্ট সুশৃঙ্খল। এখানে এইডস সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। তবু বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন দেশে কর্মরত লাখ লাখ বাংলাদেশী শ্রমজীবী ও শিক্ষার্থীদের দু’চারজনের মাধ্যমে এ দেশে এইডসের সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের পূর্বে তাদেরকে এইচআইভি/এইডস স¤পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেমন একান্ত প্রয়োজন তেমনি এ বিষয়ে সীমান্ত এলাকা এবং বিদেশ থেকে আসার প্রতিটি পয়েন্টেই এইচআইভি এইডস নির্ণয়ের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এইডস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এইডস প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারকে বিনামূল্যে এইডস রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এইডস একটি প্রাণনাশক ব্যাধি সে সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সচেতনতাই এইডস প্রতিরোধের ফলপ্রসূ একটি পদক্ষেপ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com