সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আগামী বছরের জুলাই মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ধোপাদীঘির পাড় থেকে শহরতলির বাদাঘাটে স্থানান্তরিত করা হবে। এর পরে সোয়া দুইশত বছরের পুরনো এই কারাগার এলাকায় নির্মিত হবে আধুনিক ‘গ্রিন পার্ক’। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে।
সম্প্রতি সিলেটের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর আহ্বানে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর আবুল মাল আবদুল মুহিতে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পুরাতন কারাগার স্থানান্তরের পর সেখানে গ্রীণ পার্ক নির্মাণ।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন সিলেটের কালেক্টর জন উইলসন নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ে ২৪.৬৭ একর জায়গায় নির্মাণ করেন বর্তমান কারাগারটি। তবে ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এই কারাগারটি স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এটি ছিলো অর্থমন্ত্রীর ‘আলোকিত সিলেট’ গড়ার কার্যক্রমের অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি।
সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালে কারাগার স্থানান্তর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয়। পরের বছরের ১১ই আগস্ট শহরতলির বাদাঘাটে ৩০ একর ভূমির উপর নতুন কারাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৫ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই বার মেয়ার বাড়ানো হয়। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই কাজ সমাপ্তি হলে সেখানে সব বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে।
পরে পুরাতন কারাগারকে বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ‘গ্রিন পার্কে’ রূপান্তর করা হবে। যেখানে থাকবে, ঐতিহ্য সংরক্ষণ জাদুঘর, সংস্কৃতিকেন্দ্র, শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র, কালচারাল সেন্টার, নাট্যমঞ্চসহ নানাবিধ আধুনিক সুযোগ সুবিধা। তাছাড়া পুরো পার্ক এলাকায় থাকবে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধাও।
এটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটের নগরের মানুষের যেমন বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে একটি স্থান তৈরি হবে; তেমনি পর্যটনক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে অর্থমন্ত্রীসহ উপস্থিত সিলেটের নেতৃবৃন্দ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।