1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গল্প নয় সত্যি, মাত্র কয়েক বছর আগের কথা : ১৫

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

সম্মানিত,
জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও পাঠকবৃন্দ।
মান্যবরেষু, যথাযথ সম্মানপূর্বক অভাজনের নিবেদন এই যে, ভাটিবাংলার মানুষ আমরা সুনামগঞ্জবাসী। হাওর-বাঁওর এলাকার অর্থনীতির মেরুদন্ড একমাত্র প্রধান ফসল বোরো ধান। যে বৎসর অকাল বন্যা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল তলিয়ে যায় সে বৎসর অনাহারে, অর্ধাহারে মানুষ মানবেতর দিন কাটায়। প্রতিবছর সরকার বাহাদুর ফসল রক্ষার জন্য কোটি-কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু হাওর রক্ষার নামে নাম মাত্র অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বালু দিয়ে পৃথিবীর কোনো জায়গায় বালির বাঁধ নির্মাণ করা হয় কি না অধমের জানা নেই। কিন্তু মাকাল মানুষের দেশ সুনামগঞ্জে মাটি পাওয়া যায় না দোহাই দিয়ে বালুর বাঁধ নির্মাণ করে লুটপাটের উৎসব চলতো শহর থেকে মাত্র দু-এক কিলোমিটার দূরে গজারিয়া এলাকায়। কেউ স্বীকার করুন আর নাই করুন বিভিন্ন ফোরামে অধমের চিল্লা-চিল্লিতে সুনামগঞ্জ ৪ আসনের তৎকালীন সাংসদ আলহাজ্ব মতিউর রহমানের আন্তরিক চেষ্টায় সেখানে রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। খরচার হাওরের হাজার হাজার কৃষকের দুঃখ গুচেছে। বালির বাঁধ নির্মাণের ফাঁকি-ঝুকি বন্ধ হয়েছে। আল্লাহ, প্রাক্তন সাংসদ আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে হায়াত দরাজ করুন। কারণ উনি আরো কয়েকটা রাবার ড্যাম তার সময়ে করিয়েছেন।
গতকাল ফেসবুকে দেখলাম সুনামগঞ্জের ইউএনও সাহেব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন হাওর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি কোনো লাভ হবে না। কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কোনো দিনই যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ করে না। এটা আমার বিগত৩০ বছরের অভিজ্ঞতা।
* প্রকল্প এলাকায় প্রাক্কলিত ব্যয়ের সাইনবোর্ড শত তাগদা দেওয়া সত্বেও টাঙিয়ে জনগণকে জানানো হয় না।
* বাঁধের নামে মাটি ফেলা হয় কিন্তু, মাটি বসানোর জন্য দুরমোজ করা হয় না। উপরে দূর্ব্বা ঘাসও লাগানো হয় না। তাই বাঁধও নড়বড়ে হয়।
* ইদানীং বাঁধের নিকট থেকে মেশিনের সাহায্যে মাটি তোলা হয় এবং সামান্য বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি সরে যায়। বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা ৭০ ভাগ থেকে যায়। স্লুইস গেইটগুলিতে দরকারি কাঠ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না দেওয়ায় চুইয়ে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়।
* অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের ফলে ডুবরার পানি নিষ্কাশনের রাস্তা থাকে না।
* একই জায়গায় প্রায়ই ভাঙ্গা বাঁধ মেরামতের কাজের প্রাক্কলন করা হয় যাহাতে দুর্নীতির সুযোগ থাকে।
* অহেতুক বিভিন্ন অযুহাতে বাঁধের কাজ আস্তে আস্তে করা হয় যাতে বৃষ্টির দিন চলে আসে। তখন বিলের ব্যাপারে ফাঁকি-ঝুকি করার সুযোগ থাকে।
আমার জানামতে জেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দও শত চেষ্টা করেও যথাযথভাবে বাঁধ নির্মাণ করাতে পারেন নি।
অতএব, মহোদয়বৃন্দের কাছে আমার আবেদন দয়া করে আপনারা বোরো ফসল যাতে সুনামগঞ্জের কিষাণ – কিষাণিরা হাসি মুখে ঘরে তুলতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। আল্লাহ আপনাদের উপর খুশি হবেন। কারণ এই ফসলের উপরই হাজার-হাজার হাওরবাসীর সারা বৎসরের রিজিক নির্ভর করে।
অতএব, মহোদয়বৃন্দের সমীপে আমার আবেদনÑ আল্লাহ আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছেন। আরো ক্ষমতাবান হোন দোয়া করছি। যথাসময়ে, যথাযথ সরকারি নিয়মে কাজ আদায়ের ব্যবস্থা করুন। ভাটি বাংলার মানুষ আপনাদের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করবে। যদি আপনারা হাওর অঞ্চলের বাঁধগুলোর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন।

বিনীত Ñ
আলহাজ্ব মতিউর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা)
জেইল রোড, সুনামগঞ্জ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com