জয়ন্ত সেন ::
শাল্লায় অজ্ঞাত রোগে মরছে হাজার হাজার হাঁস। খামারিদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। উপজেলার সদর ইউপিসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ফর্মে হাঁস মড়কের খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর ইউপি’র সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল চন্দ্র দাস তার হাঁসের ফার্মের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। এ সময় তিনি বলেন, তার ফার্মে ৭শ’ হাঁস ছিল। ৩দিনে সাড়ে ৬শ হাঁস মরে গেছে। বাকিগুলোও মরার পথে। তিনি জানান, এতে তার প্রায় ২লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাহাড়া গ্রামের বাসিন্দা কালী কৃষ্ণ দাস জানান, সম্প্রতি তার দুই হাজার হাঁস মরে গেছে। তারও কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুখলাইন গ্রামের সুজিত চন্দ্র দাস জানান, তার ৩ হাজার হাঁসের মধ্যে ২ হাজার হাঁস মরে গেছে। বাকি ১ হাজার হাঁসও মরার পথে।
হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা মলয় চন্দ্র দাস বলেন, আমার ২৩শ’ হাঁসের মধ্যে ১হাজার হাঁস আছে। এগুলোও মরতে বসেছে।
আনন্দপুরের কৃষ্ণকান্ত চক্রবর্তী জানান, তার ফার্মে ২শ’ হাঁসের মধ্যে মরতে মরতে এখন মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি হাঁস রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ফার্মে হাঁস মরার খবর পাওয়া গেছে। এতে হাঁস খামারিরা হতাশ ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফার্মের মালিকরা জানালেন, এই প্রথম তারা হাঁসগুলোকে মাথা ঘুরতে ঘুরতে মরতে দেখেছেন।
এ বিষয়ে পশু বিষয়ক চিকিৎসক অসিত বরণ তালুকদার বলেন, ভাইরাস জনিত কারণে হাঁসগুলো এভাবে মরছে। এ রোগের চিকিৎসা আমার জানা নেই। তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কথা উল্লেখ বলেন উপজেলা পশু হাসপাতালে শুধুমাত্র একটি ভবনই রয়েছে। সেখানে কোন চিকিৎসককে দেখা যায়নি। সেখানে দেখা যায়, ধানের গোলা, খড়, মানুষের শোয়ার বিছানা ও একজন ব্যক্তির পারিবারিক গোয়াল ঘর মনে হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষ পশু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে আমাদের মতো চিকিৎসকদের কাছে ছুটে আসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডা. সৌমেন চাকমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।