বিশেষ প্রতিনিধি ::
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কম প্রার্থী থাকায় মাঠে প্রচারণায় এগিয়ে আছেন সম্ভাব্য সদস্যপ্রার্থীরা। পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুনসহ নানাভাবে প্রচারণার মাধ্যমে তারা স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাছাড়া সদস্যপ্রার্থীরা প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ সাইটে প্রচারণার আপডেট দিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। ১৫টি ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রায় শতাধিক সদস্যপ্রার্থী জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই নির্বাচনেও সদস্যপ্রার্থীরা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পেছনে ফেলে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্তসহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। তবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট। এই পদে বিএনপি সমর্থিত কোন প্রার্থীর নাম এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি। তবে সদস্যপদে বিএনপির একাধিক প্রার্থী প্রচারণায় রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদ্যপদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জোরেশোরে প্রচারণার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বারসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা প্রায় প্রতিদিনই মতবিনিময় করে সমর্থন কামনা করছেন। অনেকে সভা-সমাবেশ করেও প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
গতকাল শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে দলের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপুকে ৬নং ওয়ার্ডে সদস্যপ্রার্থী ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের সমমনা এই সংগঠনটি কেবল দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করলেও সমমনা অন্যান্য সংগঠন এবং বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য সংগঠনগুলো নীরব রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্পর্ক রয়েছে এমন প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। তারা জনগণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা সামনে এনে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদেরকে আসন্ন নির্বাচনে সমর্থন জানানোর অনুরোধ করছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্যপ্রার্থী জুবের আহমদ অপু বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও সাধারণ জনতার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে তৎপরতা শুরু হলে সেই ভালোবাসার মানুষজনের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে আমি প্রার্থী হয়েছি। অবশেষে আমার প্রাণের সংগঠন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আমাকে দলীয়ভাবে কর্মীসভা করে সমর্থন জানানোয় আমি দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফেরদৌসী সিদ্দিকা বলেন, ২০০৮ সনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে সাধারণ জনগণ যে ভালোবাসা দিয়েছেন সেই প্রতিদান দেওয়ার জন্য আমি জেলা পরিষদে সদস্যপদে নির্বাচন করতে উদ্বুব্ধ হয়েছি। উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুবাদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে রয়েছে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তারা আমাকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।