হোসাইন আহমদ ::
দিরাই-মদনপুর সড়কের অবস্থা বেহাল। সড়কের কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, মদনপুর পয়েন্ট হতে দিরাই পর্যন্ত মোট ২৬ কিলোমিটার সড়কটি হাওরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিরাই, শাল্লা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এলাকার লোকজন এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় হাজারো ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ব্যাপক যানবাহন চলাচল এবং বৃষ্টির কারণে ইট, বালু, খোয়া ও বিটুমিন উঠে সড়ক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যাত্রীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, বিশেষ করে নোয়াখালি বাজার ও পাথারিয়া বাজার এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫টি চাল কল রয়েছে এবং এখান থেকে ট্রাকের মধ্যমে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে চাল পাঠানো হচ্ছে। সড়কটি মেরামতের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও তারা সড়কটি মেরামতর জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সিএনজি চালক শাহীন মিয়া, বাস চালক নেছার আহমদ, ট্রাক চালক শামীম চৌধুরী জানান, মদনপুর থেকে দিরাই পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে যেখানে বড়জোর ১ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। সেখানে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সময় লাগছে দ্বিগুণ। রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে। তাছাড়া যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ভারি যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কটির এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া এলাকায় প্রত্যেকটি বাজারের পয়েন্টেগুলোতে পানি সড়কে জমে থাকায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, শীঘ্রই দিরাই-মদনপুর সড়কের কিছু অংশ রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট অংশ বিভাগীয়ভাবে সংস্কার করা হবে।