জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ::
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রলীগ ও অটোটেম্পু-লেগুনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, পথচারীসহ উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলকে অটোটেম্পু শ্রমিক ইমামুল হক কটূক্তি করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ মিছিল বের করে। প্রতিবাদ মিছিলটি পয়েন্টেস্থ অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় অতিক্রম করতে গেলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ২০-২৫টি সিএনজি ও লেগুনা গাড়ি। সংঘর্ষ চলাকালে দু’পক্ষের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে পথচারী, সালিশকারী ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টসহ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এসময় পয়েন্টসহ এলাকার সকল দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওবায়দুর রউফ বাবলু, ছাত্রলীগ নেতা তাজাম্মুল হক রিপন, রাকিব উদ্দিন, আল-আমিন, নাজমুল হোসেন, এসকে মাহিন, পাবেল, জিলানী, সালমান, সাজু, মাহবুব, বাবলুর রহমান, রাসেল আহমদ, আবুল কাসেম, মোতাহার, সুমন মিয়া, দ্বীনুল ইসলাম, শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম, সাকিল, সদর, সাব্বির, বিরহাম, এনামুল হক, আহমদ আলীসহ অন্যান্য আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ছাতক থানার এসআই সোহেল রানা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় এসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল মাহফুজ ও সুমন পাল আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ অটোটেম্পু স্ট্যান্ডের সভাপতি আফতাব উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ মিছিল সহকারে স্ট্যান্ডে এসে হামলা করে তাদের কার্যালয়। তারা ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এসময় তাদের হামলায় ৩০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ সিলেটের তিন নেতাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে স্ট্যান্ডে পথসভা করতে গেলে সভা স্থানে এক শ্রমিক তার গাড়ি রাখলে এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এসময় শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তাদের পথসভায় হামলা চালিয়ে ২০জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।