বিশেষ প্রতিনিধি ::
জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র হচ্ছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে ঘায়েল করতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় সাধারণ নেতাকর্মীরা বিপাকে পড়েছেন।
আসছে ডিসেম্বর মাসেই জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনীতির উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কৌশলে রাজনীতির মাঠ গরম করছেন। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবারও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। এতে ছাতক-দোয়ারাবাজারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম (শাহানা রব্বানী), দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, অ্যাডভোকেট নান্টু রায়সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শোকসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন।
অপরদিকে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পৌরসভা চত্বরে। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আলী আমজদ, কৃষকলীগ সভাপতি সুবীর তালুকদার বাপ্টু, যুবলীগ সভাপতি খায়রুল হুদা চপলসহ জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই দুটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সাবেক এমপি মতিউর রহমানকে। প্রায় পাশাপাশি সময়ে করা দু’টি আলোচনা সভায় যোগ দেয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন বর্ষীয়ান এই নেতা। পরে তিনি দুটি অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে দিরাইয়ে আয়োজিত শোকসভা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত শোকসভার পরিচালক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বর্তমানে জেলা পরিষদ প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনিও প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নুরুল হুদা মুকুট। তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইতোমধ্যে তিনি প্রচার-প্রচারণায় শুরুও করেছেন।
মূলত জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীকে ঘিরে রাজনীতি অঙ্গন অনেকটা সরগরম। জেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে চলছে নানা অনুষ্ঠান। তীব্র হচ্ছে দলীয় কোন্দল। নেতাদের কোন্দলের কারণে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।