বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি’তে শনির দশা কাটছে না। এখনো শেষ হয়নি গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া, না পাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রুপিং শুরু হয়। তিন খন্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। এরপর চলতি বছরের ২৭ আগস্ট বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির গ্রুপিং, পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ ঘিরে উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে এক বিরূপ পরিবেশ তৈরি হয়। আদালতে দায়ের করা হয় পাল্টাপাল্টি মামলা। ফলে জেলা বিএনপি উপজেলা বিএনপি’র কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। এক পর্যায়ে উপজেলা আহ্বায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
এদিকে ২৫ অক্টোবর জেলা বিএনপি অ্যাড. আব্দুল হককে বিশ্বম্ভরপুর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে অনুমোদন দেন। আব্দুল হককে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করায় নতুন করে শুরু হয় গ্রুপিং, নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব। গত ২৬ অক্টোবর আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক কমিটি বাতিল চেয়ে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া ও জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নুরুল অনুসারীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর আব্দুল হক আহবায়ক মনোনীত হওয়ায় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী অনুসারীরা মিষ্টি বিতরণ করেন। একইদিন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া জেলা ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম নুরুল অনুসারীরা কমিটি বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ করেন। এসব মিলিয়ে এখনও শনির দশা কাটেনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপিতে। এখনও দুই বলয়ে বিভক্ত উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতা আব্দুল সাত্তার বলেন, সবাইকে নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আহ্বায়ক কমিটি করা হোক এটা সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি।
বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান আশিক বলেন, বিএনপি’র আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়দের নিয়ে নতুন কমিটি হলে দ্বন্দ্ব থাকবে না।
বিএনপি নেতা অ্যাড. মামুনুর রশিদ বলেন, সুপার ফাইভ কমিটি হলে এ আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন ছিল না।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাড. আব্দুল হক বলেন, আমি গ্রুপিং চাইনা। সবাইকে নিয়ে এক ব্যানারে কাজ করতে চাই। সিনিয়রদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে।