ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের থানুরা গ্রামের সড়কে মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একই গ্রামের সাইদুর মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া নামের (৬) বছরের শিশু আহত হয়। আর এ কারণে মোটর সাইকেল চালক কবির মিয়া (২২)কে ওই শিশুটির বাবা, চাচা ও তার স্বজনেরা বেধড়ক মারধর করেন। আর এই খবর শুনে কবিরের বাবা ইসলাম উদ্দিন (৭৯) নিজ ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনের সড়কে এসে আমার ছেলেডারে মাইর্যালতাছে তোমরা কে কই আছ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিয়ে ওই সড়কে লুটিয়ে পড়ে মারা যান।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের থানুরা গ্রামের পেছনের সড়কে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মোটরসাইকেল চালক কবির মিয়া মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে একই গ্রামের সাইদুর মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (৬) আহত হয়। ওই শিশুটি আহত হওয়ার খবর পেয়ে শিশুটির বাবা সাইদুর, তার চাচা ছোটনসহ আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক কবিরকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বেধড়ক আহত করেন। আর এ খবর শুনে কবিরের বাবা ইসলাম উদ্দিন সকাল সাড়ে দশটায় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনের সড়কে এসেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। আহত কবির ওইদিন বেলা একটার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মোটরবাইক চালক কবির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে যারা মারধর করেছে তারাই বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমরা এ ঘটনায় সুবিচার চাই।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, বৃদ্ধ ব্যক্তির পরিবারের লোকজন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের আবেদন করায় তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।