সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত পাঠদানের লক্ষ্যে শিক্ষক গাইড পেতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও নীতি নির্ধারকরা। তারা বলছেন, শিক্ষক গাইড বিতরণের এই উদ্যোগ বয়ে আনবে দীর্ঘমেয়াদী সুফলতা।
শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে সৃজনশীল পদ্ধতি। তাই সিলেবাসের সাথে খাপ খাওয়াতে শিক্ষকদের জন্য তৈরি হয়েছে সৃজনশীল পদ্ধতির আলোকে গাইড বই। এবারই প্রথম ১ কোটি ৩৩ লক্ষ শিক্ষক সহায়িকা বই দিতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকের ৪ লাখ শিক্ষকের নির্দেশিকার নাম টিচার্স গাইড। শুধু গাইড বই বিতরণ নয় নিশ্চিত করা হবে পঠন-পাঠনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও।
এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক তৈরি হয় কারিক্যুলামের আলোকে। শিক্ষকরা যেন কারিক্যুলামটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং শিক্ষকরা যেন কারিক্যুলামের বাস্তবায়ন করতে পারেন সে লক্ষ্যেই শিক্ষক গাইড তৈরি করা হয়েছে।’
শিক্ষক গাইড দেয়ার পর মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানোর পরামর্শ দিলেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নাসরিন আহমদ বলেন, ‘গাইড বই ছাপিয়ে শুধু শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করলেই হবে না বরং গাইড বইয়ের আলোকে শিক্ষদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যাপার আছে।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘উদ্যোগটা খুব ভালো। আমি চাইবো যেন শিক্ষকদের হাতে গাইড বই ঠিক সময় পৌঁছায় এবং পাঠ্যপুস্তক পড়ানোর শুরুর সময়ই যেন শিক্ষকরা গাইড বই দেখে পাঠদান করতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান শিক্ষক গাইডের সাথে প্রশিক্ষণও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, ‘পাঠদানকালে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় গাইডবুক কাজে লাগাতে হবে। গাইড বইয়ের সহায়তায় পাঠদান করা হলে শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাবে।’ সৃজনশীল পদ্ধতি পঠন-পাঠন সহায়ক শিক্ষক গাইড এরইমধ্যে ছাপানোও শেষ হয়েছে।