বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর উত্তরপাড়ে রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়াই চালকরা যাত্রী পরিবহন করে চলছেন। ফলে ঘনঘন দুর্ঘটনাও ঘটছে। মোটরসাইকেলের কোন কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত আইনি কোন প্রক্রিয়ায় যেতে পারে না।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে মোটর সাইকেল চালক সমিতি ‘সুবিধতাজ’ রয়েছে। তাছাড়া এই পাঁচটি উপজেলায় আরো ৩১টি সংগঠন রয়েছে। গত দুই দশক ধরে মোটর সাইকেল চালকরা সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর উত্তরপাড়ে মোটর সাইকেলে যাত্রীপরিবহন করে চলছে। গত বছর সুরমা নদীর উপর আব্দুজ জহুর সেতু চালুর পর এর সঙ্গে জড়িতরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। তবে সম্প্রতি ‘যানবাহন স্ট্যান্ড দাবি’ নিয়ে তারা প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন। যাত্রীরা পরিচিত ড্রাইভারদের সুনামগঞ্জ শহর ও বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে গেলে কিছু ড্রাইভার তাদের আটকে দেয়। গত শুক্রবার কয়েকজন ড্রাইভার তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুরের রশিদ আহমদ নামের এক যাত্রীকে এভাবে আটকে দিয়ে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়।
সুবিধতাজ সূত্রে জানা গেছে, এই সমিতির অধীনে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মোটর সাইকেল রয়েছে। তবে অধিকাংশেরই কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
সোলেমানপুর গ্রামের যাত্রী রশিদ আহমদ বলেন, কাগজবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন থাকায় চালকরা বেপরোয়া গাড়ি চালায়। তারা মানুষের জীবনের মূল্য বুঝে না।
সুবিধতাজের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ৩১টি সংগঠন রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের সাড়ে ৩ হাজারের মতো গাড়ি রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছি।
সুবিধতাজের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, আমরা ডিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করে সম্প্রতি একটি স্ট্যান্ড দাবি করেছি। আমাদের চালকরা তার কাছে লাইসেন্স করবে বলে ওয়াদা করে এসেছে। আমরা সবাইকেই লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সুরমার উত্তরপাড়ে যারা মোটর সাইকেল চালিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী পরিবহন করছে তাদের বেশির ভাগেরই গাড়ির কাগজ ও লাইসেন্স নেই। আমরা বারবার বলার পরও তারা কাগজ করছে না। এসব লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে জানান মোটরযান পরিদর্শক জিল্লুর রহমান চৌধুরী।