দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাইয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের পুত্র জামান মিয়া ও আলী আকবরের লোকজনের মধ্যে ৫ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের রফিনগর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। রাত ১২টার দিকে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় দিরাই থানা পুলিশ ৫জনকে আটক করেছে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মুক্তার হোসেন (৩০), আকাশ (১৭), মাসুদুর রহমান (২৯), আব্দুল হক (৫০), দিল মালিক বেগম (৩৫), সাফাতুল বেগম (৩০), রাজিব উদ্দিন (৩৫), সাকিব (১২), তানভির (৯), রংগু মিয়া (৭৫), এমদাদুর (২৫), টিটু মিয়া (১৫), আজহার (৪৮), ছোটন (২০), আতাব নুর (৫০), ওবায়দুর (৩৫), জোসেফ (২৪), নাঈম (১৫), বাবুল মিয়া (৩৫), রাকিবুল (৩০) ও এরশাদ (২৫)।
গুরুতর আহতরা হলেন আবুল নছব (৪৫), আবুল বশর (৫০), সুবান হাছান (৩৫), আফিল উদ্দিন (২৫), গিয়াস উদ্দিন (৪৫), ছদরুল নুর (২৫), আয়াত হোসেন (১৮), আব্দুল ছুবান (৫০), শিবলী (৩৫), রবিউল (৩৫), মশকুর (২২), জোবায়ের আহমদ (৩২), জোবায়েল (২৫), এরশাদ (২০), হোজায়েল (১৭), বাবুল মিয়া (১২), বাদল মিয়া (৩০), জসিম উদ্দিন (৩২), হারিছ উদ্দিন (৪৫), আনোয়ারা বেগম (৫৫)। আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রফিনগর গ্রামের রফিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর খালেকের পুত্র জামান মিয়া ও একই গ্রামের আলী আকবরের মধ্যে জায়গা-জমি ও গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় ৮/৯ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ২১ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।
রফিনগর ইউপি চেয়ারম্যান রেজোয়ান আহমদ খান জানান, রফিনগর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যারাতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নারী শিশু অনেকে আহত হয়েছেন।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।