সাইফ উল্লাহ ::
জামালগঞ্জে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ নার্গিস আক্তারের পিতা আ. হামিদ বাদী হয়ে নার্গিসের জামাই তোফাজ্জল হোসেন, শ্বশুর গোলাম রব্বানী, শাশুড়ি হোসনে আরা, দেবর, ননদ সহ পরিবারের ৫জনকে আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আবুর হাটির গোলাম রব্বানীর ছেলে তোফাজ্জল হোসনের সাথে গত ৩ বছর আগে নার্গিস আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গৃহবধূ নার্গিসের পিতা মেয়ের জামাইকে ২ লক্ষ টাকাও দেন। পরবর্তীতে আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। টাকা দিতে না পারায় নার্গিসকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, যৌতুকের টাকা না পেয়ে গত বুধবার সকালে জামাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ নার্গিসকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আর এই মারপিটের পরই মেয়েটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন নার্গিস আক্তারের পিতা আ. হামিদ।
আ. হামিদ জানান, মৃত্যুর পরপরই নার্গিস আক্তার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে পাড়া প্রতিবেশীর কাছ থেকে ঘটনাটি জানাজানি হলে নার্গিস আক্তারের স্বামী সহ পরিবারের সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। মৃত্যুর পর জামালগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরত হাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে।
নার্গিসের চাচা জাবেদ আহমদ জানান, আমার ভাতিজিকে জামাই ও তার পরিবারের লোকেরা টাকার জন্য চাপ দিলে আমরা প্রথম দফায় টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে আবারো টাকার জন্য চাপ দিয়ে টাকা না পেয়ে আমার ভাতিজিকে শারীরিক নির্যাতন করে। এর ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, গৃহবধূ নার্গিস আক্তার হত্যার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।