ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকের ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ঈদের সময়ও তাদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পাচ্ছেন না। গতকাল বুধবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দেয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের বেতন বিল পাস করা হলেও এ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা।
২০১৩ সালের ১জুলাই ছাতক উপজেলার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক সাথে জাতীয়করণ করা হলেও বেতনের ক্ষেত্রে ২য় ধাপের ৭টি ও ৩য় ধাপের ১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন সুবিধাবঞ্চিত।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস জানান, এসব বিদ্যালয়ের সকল কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে অনেক আগেই প্রেরণ করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশ না হওয়ার কারণে তারা বেতন পাচ্ছেন না। দেশে ২য় ও ৩য় ধাপের কোন শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন এখনো পাচ্ছেন না।
উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ের সুবিধাবঞ্চিত একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই এসব বিদ্যালয়ে তারা বিনাবেতনে চাকরি করছেন। একই সাথে উপজেলার ৫৭টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এর মধ্যে ৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার আন্ধারীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আগিজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরদুর্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শরীষা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোঘলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানায়ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ঈদের সময়েও তাদের বেতন-ভাতা পাননি।