স্টাফ রিপোর্টার ::
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সুনামগঞ্জ পৌরসভার কোরবানির পশুর হাট জমে ওঠেনি এখনও। গতকাল বুধবার শুরু হওয়া পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। পশুও কম উঠেছে হাটে।
এবছর প্রথমবারের মত শহরের মল্লিকপুরের পুলিশ লাইনের বিপরীতে গরুর হাট বসেছে। বুধবার হাট শুরু দিনে ক্রেতা-বিক্রেতা ছিল অনেক কম। পশুর হাট ছিল অকেটাই ফাঁকা। দেশী গরুর উঠলেও ক্রেতাদের তেমন আকৃষ্ট করতে পারেনি।
ফয়সাল আহমেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, হাটে পশু কম উঠেছে। চাহিদামত গরু কিনতে সমস্যা হচ্ছে।
শহরের ষোলঘরের মুস্তাফিজ এসেছিলেন গরু কিনতে। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার হাটে গরু উঠেছে কম। পছন্দমত গরু না পাওয়ায় কিনতে পারেনি। তাই এই পশুর হাটের তৎপরতা বর্তমানে দরদামেই আটকে আছে।
এক বিক্রেতা বলেন, বাইরের পাইকাররা এখনও আসেনি। পুরোদমে হাট জমতে আরও এক-দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে।
হাটের ইজারাদার পল বলেন, যে টাকা দিয়ে হাটের ইজারা এনেছি। মনে হচ্ছে লোকসান গুনতে হবে। তার কারণ এবার অস্থায়ীভাবে বেশি সংখ্যক পশুর হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গরু ব্যবসায়ীরাও কম আসছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, উপজেলা পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি এবং সর্বসম্মতিক্রামে অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আর হাটে নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে বেশি আদায় করতে পারবে না ইজাদার।