সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সরকারের সিদ্ধান্তের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পদক জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার সরকারের ওই পদক্ষেপ জিয়াকে উপরে তোলার চেষ্টা হিসেবে দেখে জাতির জনককে অবমাননার তীব্র সমালোচনা তখন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সম্প্রতি জিয়াকে দেওয়া রাষ্ট্রের বেসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ওই সিদ্ধান্তের আলোকে বুধবার জিয়ার পদকটি জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই পদক বাতিল করার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ওই পদকটি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন।
“মিউজিয়াম থেকে পদকটি নিতে আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন।”
তিনি বলেন, “ওই কমিটি (পদক সংক্রান্ত কমিটি) পুরস্কার দেয়, ওই কমিটিই পুরস্কারটি প্রত্যাহার করেছে। তারা বলেছে, মিউজিয়ামে কর্নারটি থাকবে না।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি নিয়ে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
জাতীয় জাদুঘরের একজন উপ-পরিচালক বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই কর্মকর্তা এসে পদকটি নিয়ে যান। তিনি জানান, ২০০৩ সালে দেওয়া এ পদক জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্যালারি থেকে সরিয়ে নেওয়ার সেটা স্টোর রুমে ছিল।