স্টাফ রিপোর্টার ::
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী’র ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতালে কোন সাড়া ছিল না সুনামগঞ্জে। সোমবারের ডাকা হরতালে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল-সমাবেশ, পিকেটিংয়ের খবরও পাওয়া যায়নি।
এদিকে হরতাল চললেও তার কোন প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে রিকশা, অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সবই খোলা ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পাঠদান কার্যক্রম চলেছে। তবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি র্যাবও শহরে টহল দেয়।
হরতাল বিষয়ে কথা হয় এক অভিভাবক পপি রায়ের সঙ্গে। তিনি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকর হলেই জামায়াত হরতালের ডাক দেয়। এটা তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। তবে জনজীবনে এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাদের হরতালে কেউ সাড়া দেয় না।
ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, শুনেছি আজ হরতাল। এই হরতাল কেউ মানে না। সামনেই ঈদ তাই বেচাকেনা বেশি।
গাড়ি চালক আলী আশরাফ সোমবার সকাল ১০টার দিকে আলফাত স্কয়ার এলাকায় যানজটে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, হরতালের কোনো প্রভাবই নেই। শহরের কয়েকটি পয়েন্টে যেভাবে যানজট হয়, আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মাসুক আহমেদ বলেন, ‘জামায়াতের ডাকা হরতাল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন সুনামগঞ্জবাসী। যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জনগণ খুশি হয়েছেন। এই রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রাজাকারদের ঠাঁই কখনো হবে না।’
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফাঁসির মঞ্চে মীর কাসেমের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এর প্রতিবাদে ওই রাতেই নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।