স্টাফ রিপোর্টার ::
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন তিনটি উপজেলায় ২১টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতে আগ্রহীরা না থাকায় অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার আগ্রহীরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে লিখিত আবেদন করার পর যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসন তিনটি উপজেলায় ২১টি অস্থায়ী বাজারের এই অনুমোদন দেয়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত অস্থায়ী হাটগুলোতে বৈধভাবে কোরবানির পশু বিক্রি করা যাবে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (সার্বিক) শাখা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৪টি এবং জগন্নাথপুর উপজেলায় ১১টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শতকরা টাকা হারে হাসিল আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন বাজার অনুমোদন দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট হাটগুলোর ইজারাদাররা সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন। প্রশাসন কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য ইজারাদারদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে, কোরবানির পশুর হাটে এক শ্রেণির ইজারাদার সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে হাসিল আদায় করেন। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে ইজারাদারদের বচসার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন এলাকায় এ নিয়ে হাঙ্গামারও ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সুধীজন ইজারাদারদের অতিরিক্ত হাসিল আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান বলেন, বরাবরের মতো এবারও উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তাবের আলোকে আমরা তিনটি উপজেলায় ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছি। আগ্রহীরা নিয়ম মেনে উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন। যারা ইজারা পেয়েছেন তাদেরকে নিয়ম মেনে হাসিল আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।