জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে বড় গাড়ি ও ছোট গাড়ির শ্রমিকদের বিরোধ নিষ্পত্তির এক দিনের মাথায় আবারো ছোট গাড়ির শ্রমিকদের হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে আজ বৃস্পতিবার থেকে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বড় গাড়ির ৪ সমিতি। এ নিয়ে বড় ও ছোট গাড়ির শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে ইমা, লেগুনা, সিএনজি, এইচ পাওয়ারসহ ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ ও স্থানীয় পৌর পয়েন্ট, রাণীগঞ্জ রোড, চিলাউড়া পয়েন্ট, পশ্চিমবাজার পয়েন্টে সড়কে গড়ে উঠা ছোট গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করছে জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতি, মিনিবাস শ্রমিক সমিতি, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সমিতিসহ বড় গাড়ির ৪ সমিতির নেতারা। তাদের আন্দোলনের মুখে গত মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ’র মধ্যস্থতায় শর্ত সাপেক্ষে তাদের বিরোধটি নিষ্পত্তি হলে বড় গাড়ির ৪ সমিতির ডাকা পূর্বের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। শর্তে ছিল ছোট গাড়ি জগন্নাথপুর থেকে স্থানীয় ভমভমি বাজারের এদিক পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। এর বাইরে গেলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন শর্ত ছিল।
তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের বিরোধটি নিষ্পত্তির মাত্র এক দিন পর গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় ভমভমি বাজার এলাকা থেকে ছোট গাড়ির শ্রমিকরা তাদের গাড়িতে যাত্রী উঠানোর চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছোট গাড়ির শ্রমিকদের হামলায় স্থানীয় বাস ম্যানেজার ফজলু মিয়াকে মারপিট করেন। এ সময় ফজলু মিয়া আত্মরক্ষা করতে গিয়ে ভমভমি বাজারের ব্যবসায়ী মোহন মিয়ার দোকানে গেলে উত্তেজিত শ্রমিকরা ব্যবসায়ী মোহন মিয়াকে মারপিট করে তার দোকান ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নিজামুল করিম ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও নাজেহাল করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ফজলু মিয়াকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।