সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী খালেদুজ্জামান খালেদ (২০) হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তমচন্দ্র গ্রামের হুমায়ূন কবির (২৬), গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে ফাহিম আহমদ (২৬) ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিলেরবন্দ গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মুকিত আল মাহমুদ (২৩)।
সিলেটের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খালেদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তমচন্দ্র গ্রামের মৃত বশারত আলীর ছেলে সাইব উদ্দিন (৫১), যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত হুমায়ূন কবিরের মা রিনা বেগম (৪৬), তার বোন লাকি বেগম (২১) ও ডলি বেগম (২০) এবং বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর এলাকার মৃত জোয়াদ আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিনকে (৫১) বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি জেলহাজতে রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পিপি আরও জানান, ২০১৪ সালের ২১ জুলাই সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল গ্রামের ছালেহ ছল্লুক মিয়ার ছেলে ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী খালেদুজ্জামান খালেদ (২০) ও তার খালাতো ভাই জহিরুল ইসলামকে হুমায়ুন কবির সহযোগীদের নিয়ে নগরীর বন্দরবাজার থেকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। জহিরুল ৩ লাখ টাকা দেয়ার শর্তে মুক্তি পান। কিন্তু টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা খালেদকে হত্যা করে। পরে ২৫ জুলাই ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে খালেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় খালেদের বাবা ৮ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করে।