সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতাসহ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিশেষ সম্মানী ভাতা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছেন।
জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, যারা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
তিনি বলেন, সংসদ এলাকায় স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর রাখা যাবে না। জিয়ার কবরে জিয়ার লাশ আছে বলে কোন প্রমাণ নেই। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে দু’দফায় পত্র দিয়ে সংসদ এলাকা থেকে সকল কবর সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি শেখ আহমদ হোসেন মির্জা সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও একাত্তরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম প্রমুখ।