সাইফ উল্লাহ ::
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। যে কোন মূল্যে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। বাল্যবিয়ের জন্য ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবারের পিতামাতা, কাজী, ইমাম, পুরোহিত, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিবসহ যারা সমর্থন করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিংকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। সব কাজে লাভের আশা না করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। মেয়েদের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মেয়েদেরকে অবহেলা করবেন না, ছেলেদের মত তাদেরকেও পড়ালেখায় বেশি করে উৎসাহিত করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে জামালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে জামালগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বাল্য বিবাহের কুফল তুলে ধরে বলেন, আজকের পর থেকে যাতে এই উপজেলা আর কোন বাল্য বিবাহ না হয়, সেদিকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধি, নিকাহ রেজিস্ট্রারসহ সকলকে কঠোর নজর রাখতে হবে।
পরে প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উপস্থিত সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসার সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব অজিত রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, ভাইস চেয়ারম্যান রশীদ আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব রইছ উদ্দিন, সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা ডা. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী, থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক আফিন্দী, ভীমখালি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা ইয়াসমিন চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদরের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী শরফুল বাশার, সাংবাদিক অঞ্জন পুরকায়স্থ, ওয়ালী উল্লাহ সরকার, বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না আক্তার প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১২ টায় জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও এনজিও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জামালগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।