ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়নে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বড়কাপন বাজারে বাদেশ্বরী ও বাগারাই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদেশ্বরী গ্রামের আমির আলীর পুত্র মাছ বিক্রেতা আক্তার হোসেন ও বাগারাই গ্রামের ক্রেতা সামছুল ইসলামের মধ্যে মাছ কেনা-বেচা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে দু’গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে গুরুতর আহত সামছুল হক (২৬), ফয়জুল হক (৩২), আতাউল হক (২৪), আশিক মিয়া (৫৫), সায়াদ মিয়া (৫০), আরজ আলী (৪৫), তাইয়বুর রহমান (২৫), ছায়ারুন নেছা (৩০), জিয়াউল হক (২০), ইমন মিয়া (১৮), জসিম উদ্দিন (৩০), নুরু মিয়া (৩৫), আক্তার হোসেন (২২), আছিম উদ্দিন (২৪), চান মিয়া (৬০), মিলন মিয়া (২০), আলী হোসেন (২৮), ফুলন মিয়া(৩০), ফজর আলী (৫৫), আব্দুল রজা (৫০), কাচা মিয়া (৫৫), আব্দুন নুর (৪০), সুজন মিয়া (৩৫), রহিমা বেগম (৩০), মাছমা বেগম (৫০), আমিরুল হক (৪৫), ফুরু মিয়া (৪৫), গুলু মিয়া (৪০)সহ অন্তত ৩৫জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত (২২), কবির হোসেন (১৮), কচির আলী (২৫), আনছব আলী (৩৫), হরমুজ আলী (২৫), আফরোজ আলী (৩৭), আইন উদ্দিন (২৮), রুহেল মিয়া (১৫), রূপবান বেগম (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), শফিক মিয়া (৪৫), আনফর আলী (৪৮), দেলোয়ার হোসেন (২৮), মইন উদ্দিন (৩৫), তেরাবান বিবি (৪৮), আজিজুল হক (২৮), মন্নান মিয়া (৫০), মইনুল হোসেন (২৭), হালেমা বেগম (৫০)সহ অন্যান্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুন নুর জানান, স্থানীয় লোকজন ও জাউয়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন জানান, মাছ কেনা-বেচা নিয়ে দু’জনের হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।